নব্যেন্দু হাজরা: রাজ্যে হু হু করে বাড়ছে কোভিড (Covid-19) সংক্রমণ। করোনার বাড়বাড়ন্ত রুখতে তৎপর রাজ্য সরকার। সোমবার থেকে রাজ্যে ফের জারি হতে চলেছে কড়া বিধিনিষেধ। ইতিমধ্যেই সেই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে নবান্ন। রাজ্যের নির্দেশিকার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কলকাতা মেট্রোর নিয়মেও বদল। আগামিকাল থেকে দেওয়া হবে না টোকেন। স্মার্ট কার্ড থাকলেই মেট্রোয় যাতায়াত করতে পারবেন যাত্রীরা।
কীভাবে করোনা সংক্রমণে রাশ টানা সম্ভব, তা নিয়ে মুখ্যসচিবের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। ওই বৈঠকেই রাজ্যে ফের কড়া বিধিনিষেধ জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রবিবার দুপুর তিনটে নাগাদ সেই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন মুখ্যসচিব। মেট্রো (Kolkata Metro) পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ করা হয়নি ঠিকই। তবে যাত্রী সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। জানিয়ে দেওয়া হয়, সোমবার থেকে একসঙ্গে ৫০ শতাংশ যাত্রী মেট্রোয় যাতায়াত করতে পারবেন।
[আরও পড়ুন: COVID-19: সোমবার থেকে রাজ্যে বন্ধ সমস্ত স্কুল-কলেজ, লোকাল ট্রেন নিয়ে বড় ঘোষণা নবান্নের]
রাজ্য সরকার বিধিনিষেধ জারির পরই যাত্রী নিয়ন্ত্রণে সেই পুরনো পন্থাকেই অবলম্বন করে মেট্রো কর্তৃপক্ষ।তাদের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, আগামিকাল অর্থাৎ সোমবার থেকে টোকেন আর দেওয়া হবে না। যাঁদের হাতে স্মার্ট কার্ড (Smart Card) থাকবে, তাঁরাই ঢুকতে পারবেন মেট্রো স্টেশনে। তাই স্বাভাবিকভাবেই মেট্রোয় যাত্রীসংখ্যা কিছুটা কমবে বলেই মনে করা হচ্ছে। মেট্রো স্টেশনে প্রবেশের নিয়মের পাশাপাশি সময়সূচিতেও সামান্য পরিবর্তন। রাত সাড়ে ৯টার পরিবর্তে দমদম এবং কবি সুভাষ থেকে শেষ মেট্রো ছাড়বে রাত ৯টায়। দক্ষিণেশ্বর থেকে রাত ৮ টা ৪৮ মিনিটে ছাড়বে শেষ মেট্রো। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ২৭৬টার পরিবর্তে ২৭০টি মেট্রো চলবে। স্টেশনে ঢোকার ক্ষেত্রে প্রত্যেক যাত্রীকে পরতে হবে মাস্ক (Mask)। কোভিডবিধি না মানলে তাঁর বিরুদ্ধে নেওয়া হতে পারে কঠোর ব্যবস্থা।
রাজ্যের করোনা শৃঙ্খল ভাঙতে ২০২০ সালে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় গণপরিবহণ। মেট্রো পরিষেবাতেও কোপ পড়ে। প্রথমে জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্তরা মেট্রোয় যাতায়াতের ক্ষেত্রে ছাড়পত্র পান। পরে ধীরে ধীরে মেট্রো পরিষেবা স্বাভাবিক হয়। তবে টোকেন দেওয়া বহুদিন বন্ধ করে রেখেছিল কর্তৃপক্ষ। করোনার থাবায় নতুন বছরেও ফের মেট্রোয় বন্ধ হতে চলেছে টোকেন (Token)। মেট্রোয় টোকেন বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে যাতায়াতকারীদের একাংশ যে বিপাকে পড়তে চলেছেন, তা বলাই যায়।