সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। তাই তো উৎসবের মরশুমের রেশ শেষ হয়েও হয় না শেষ! দুর্গাপুজো, কালীপুজোর পর অপেক্ষা থাকে জগদ্ধাত্রীদেবীর আগমনের। আর হৈমন্তিকার আরাধনার মানেই একমাসব্যাপী পুজোর মরশুমের অন্তিম লগ্ন। সিংহভাগ জায়গাতেই নবমীর দিন চার প্রহরের পুজো হয়। আমজনতার মতো সেলেবরাও তাই রবিবার জগদ্ধাত্রীপুজোয় মেতে উঠেছিলেন।
নবমীর দিন তালমার রোমিও জুলিয়েট টিম নিয়ে চন্দননগরে হাজির হন অনির্বাণ ভট্টাচার্য। সিরিজের প্রচারের ফাঁকে মায়ের মূর্তি দেখে মুগ্ধ অভিনেতা। এক মণ্ডপে গানও গাইতে দেখা যায় অভিনেতাকে। অন্যদিকে রবিবার ইন্দ্রাণী দত্ত, রাজনন্দিনী পালের বাড়ির জগদ্ধাত্রী পুজোয় আমন্ত্রিত ছিলেন টলিপাড়ার অনেকেই। সেখানে দেখা গেল অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলা জুটিকে। তারকাজুটির পাশাপাশি হাজির ছিলেন টেলিপর্দার আরেক তারকাজুটি। অঙ্গনা রায় এবং রোহন ভট্টাচার্য। দিন কয়েক আগেই কালীপুজোর প্রসাদ খেয়ে বিষক্রিয়ার জেরে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল অঙ্গনাকে। তবে জগদ্ধাত্রী পুজোর নবমীর দিন অভিনেত্রীকে দেখা গেল সেজেগুজে রাজনন্দিনীর বাড়িতে।
এবার ২০ বছরে পড়ল দেবলীনা কুমারের বাড়ির জগদ্ধাত্রী পুজো। অভিনেত্রীদের বাড়ির শ্বেতশুভ্র মায়ের মূর্তির থেকে চোখ ফেরানো যেন দায়! সেখানে আবার দেখা গেল গৌরব চক্রবর্তীকে। উপস্থিত ছিলেন তাঁদের বন্ধু অভিনেতা অনিন্দ্যও। রবিবার সকাল থেকেই অঞ্জনা বসুর ব্যস্ততা ছিল তুঙ্গে। কারণ তাঁর বাড়িতেও মা হৈমন্তিকার আরাধনা হয়। অভিনেত্রীর বাড়ির ভোগে মাছ মাস্ট! থাকে সাদা ভাত, নয় রকমের ভাজা থেকে শুরু করে মুগের ডাল, ভেটকি মাছ-সহ আরও অনেক কিছু। অভিনেত্রী রূপসা চক্রবর্তীর বাড়ির জগদ্ধাত্রী পুজো এবার দ্বিতীয় বর্ষে পড়ল। তাঁদের বাড়িতে মাকে ভোগে দেওয়া হয় খিচুড়ি, পোলাও, বরফি, পায়েস। স্বামী স্নেহাশিষ চক্রবর্তী এবং ছেলের সঙ্গে সবুজ রঙের ম্যাচিং পোশাকে সেজেছিলেন রূপসা। এককথায় টলিউডের জগদ্ধাত্রী পুজো একেবারে জমজমাট কেটেছে।