সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফেডারেশন-পরিচালক দ্বন্দ্ব ভুলে টলিপাড়া এখন আগের মতোই শশব্যস্ত। লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশনের ছন্দে চলছে স্টুডিওপাড়া। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই জট কেটেছিল। এদিকে গত ৫ আগস্ট ফেডারেশনের তরফে রাহুল মুখোপাধ্যায়ের 'শাপমোচন' হওয়ার পরই মঙ্গলবার থেকেই অনির্বাণ ভট্টাচার্য, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে ফ্লোরে নেমে পড়েছেন পরিচালক। আর তার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই বুধবার নন্দনে রিভিউ কমিটির প্রথম বৈঠক হল।
উপস্থিত ছিলেন রিভিউ কমিটির পাঁচ সদস্য অরূপ বিশ্বাস, গৌতম ঘোষ, দেব, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। ফেডারেশনের নিয়মের নাগপাশে জড়িয়ে বাংলা সিনেমার কাজ ব্যহত হচ্ছে বলে অভিযোগ জানিয়েছিলেন পরিচালকরা একযোগে। দাবি করেছিলেন, নিয়ম বদলের প্রয়োজন। সেই প্রেক্ষিতেই মুখ্যমন্ত্রী একটা রিভিউ কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। ফেডারেশনের নিয়ম সংক্রান্ত বিষয়গুলি পর্যালোচনা করার জন্যই এই বৈঠক গঠন হয়েছে। এবার মমতার নির্দেশের এক সপ্তাহের মাথাতেই ইন্দ্রনীল সেন, অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন গৌতম ঘোষ, দেব, প্রসেনজিৎ। যা কিনা টলিউড উন্নয়নের প্রথম ধাপ বলাই যায়।
টুইট করে দেব জানালেন, "মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আমাদের রিভিউ কমিটির প্রথম বৈঠক হল নন্দনে।" এর পাশাপাশি 'সুপারস্টার' সাংসদ জানিয়েছেন, "বাংলা সিনেমা নিয়ে বেশ গঠনমূলক এবং সুস্থ আলোচনা হল আমাদের।"
[আরও পড়ুন: ‘১০০ গ্রামের গল্পটা বিশ্বাসযোগ্য?’, ভিনেশ ফোগাটের ওজন বিতর্কে যড়যন্ত্রের ইঙ্গিত স্বরা ভাস্করের!]
পরিচালক রাহুল মুখোপাধ্যায়ের উপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে যে চরম জটিলতা তৈরি হয়েছিল, তাতেই ইতি টানার পাশাপাশি নবান্ন থেকে সোজা মমতা নির্দেশ দিয়েছিলেন, ‘কাউকে ব্যান করা যাবে না।’ গত মঙ্গলবার সন্ধে নাগাদ স্টুডিওপাড়ায় সংবাদমাধ্যমকে দেব জানান, এরপর থেকে ইন্ডাস্ট্রিতে কাউকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা যাবে না, এমনটাই জানিয়ে দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে কেউ কোনও ভুল করলে তাঁকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। পরিচালকদের তরফে গৌতম ঘোষ জানান, শ্যুটিং নিয়ে ফেডারেশনের চালু থাকা নিয়মে বদল আনা হচ্ছে। একটা কমিটি তৈরি করে ফেডারেশনের নিয়ম সংক্রান্ত বিষয়গুলি পর্যালোচনা করা হবে। সেই কমিটির রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে নতুন নিয়ম নভেম্বর থেকে চালু করার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেটা বাস্তবায়িত করার লক্ষেই বুধবার নন্দনে হাজির হয়েছিলেন গৌতম ঘোষ, দেব, প্রসেনজিৎরা।