সুব্রত বিশ্বাস ও ভাস্কর মুখোপাধ্যায়: অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে কি ফের সিবিআই (CBI) হাজিরা এড়াবেন বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)? ইঙ্গিত কিন্তু তেমনই। সোমবার কলকাতায় থাকলেও সিবিআইয়ের তলবে সাড়া দিয়ে নিজাম প্যালেস যাননি তিনি। সময় চেয়ে নিয়েছিলেন। ফের তাঁকে বুধবার ডেকে পাঠানো হয়েছে। ইমেল এবং চিঠি পৌঁছে গিয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে। এই অবস্থায় তিনি আদৌ বুধবার যাবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। সূত্রের খবর, চিকিৎসকরা তাঁকে কয়েকদিন বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। তাই বুধবার বোলপুর থেকে কলকাতায় এসে হাজিরা দেওয়া আপাতদৃষ্টিতে সম্ভব নয়।
গরু পাচার (Cow Smuggling) মামলায় বীরভূমের তৃণমূল (TMC) সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে ৮ আগস্ট সকাল ১০টার মধ্যে নিজাম প্যালেসের হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল সিবিআই। কলকাতা গিয়েও হাজিরা এড়িয়ে যান তিনি৷ এসএসকেএমে চিকিৎসা করিয়ে বোলপুরের বাড়িতে ফিরে আসেন। এদিন হাজিরা না দেওয়ায় কলকাতার চিনার পার্কের বাড়িতে ফের নোটিস দিতে যান সিবিআই অফিসাররা। কিন্তু বাড়িতে ছিলেন না অনুব্রত মণ্ডল৷ তাই মঙ্গলবার বোলপুরের (Bolpur) নিচুপট্টির বাড়িতে এসে নোটিস দিয়ে যায় সিবিআই। জানা গিয়েছে, ১০ আগস্ট ফের তলব করা হয়েছে অনুব্রতকে৷
[আরও পড়ুন: সুকান্তকে সরিয়ে রাজ্য BJP সভাপতি শুভেন্দু? দলে গুরুত্ব বাড়তে পারে দিলীপ-লকেটের]
মঙ্গলবার একদিকে যখন সিবিআইয়ের নোটিস পৌঁছয় অনুব্রতর বাড়িতে, তার খানিকক্ষণ আগেই তাঁর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করতে বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল থেকে চিকিৎসকদের একটি দল যায় সেখানে। জানা গিয়েছে, চেক আপের পর চিকিৎসকদের পরামর্শ, অনুব্রতর শারীরিক সমস্যা বেড়েছে। তাঁকে ক’দিন বিশ্রামে থাকতে হবে। এই অবস্থায় কোনওভাবেই বুধবার তাঁর কলকাতায় এসে নিজাম প্যালেসে হাজির হওয়া সম্ভব নয় বলেই মনে করছেন ঘনিষ্ঠরা।
[আরও পড়ুন: ২২টি সোনা জিতে পদক তালিকায় চতুর্থ স্থানে কমনওয়েলথ শেষ করল ভারত, কোন দেশ কোথায়?]
কিন্তু অনুব্রত যদি এবারও হাজিরা এড়িয়ে তদন্তে অসহযোগিতা করেন, তাহলে সিবিআইয়ের কী করণীয়? এবার যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা একেবারে তেড়েফুঁড়ে আসরে নামবে, তা বেশ স্পষ্ট। মঙ্গলবার অনুব্রতর বাড়িতে নোটিস পাঠানোর পরই দিল্লি থেকে সোজা কলকাতায় চলে এসেছেন সিবিআইয়ের জয়েন্ট ডিরেক্টর অজয় ভাটনগর। তিনি নিজাম প্যালেসের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেন। ছিলেন দিল্লির আরও ২ উচ্চপদস্থ আধিকারিক। মনে করা হচ্ছে, গরু পাচার মামলার তদন্ত এগোতে আপাতত তাঁদের মূল টার্গেট বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি। তাই তাঁকে কীভাবে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি আনা যায়, সেই পরিকল্পনাই চলছে সিবিআইয়ের অন্দরে।