সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আরাকান আর্মির তাড়া খেয়ে পালিয়ে এসেছিলেন বাংলাদেশে। সোমবার বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ ও ময়মনসিংহে পৃথক অভিযানের পর গ্রেপ্তার হলেন রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি বা আরসা জঙ্গি সংগঠনের প্রধান আতাউল্লা আবু আম্বার জুনুনি। এই জঙ্গিনেতা-সহ মোট ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে বাংলাদেশ র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স বা র্যাব। সন্ত্রাসবিরোধী আইন ও অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, এই অনুপ্রবেশকারীদের গ্রেপ্তারের পর মঙ্গলবার সকালে তাঁদের নারায়ণগঞ্জ আদালতে তোলা হয়। সেখানে অভিযুক্তদের মধ্যে জুনুনি-সহ ৬ জনকে ১০ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, ১০ জনের মধ্যে জঙ্গি সংগঠনের প্রধান জুনুনি ছাড়া বাকিরা রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের বাসিন্দা। বাংলাদেশে পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের মাটিতে বড়সড় নাশকতার ষড়যন্ত্র করছিল আরসা। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দায়িত্বে ছিলেন এই জঙ্গি নেতা। শুধু তাই নয়, ২০২১ সালে রোহিঙ্গা শিবিরে ঢুকে রোহিঙ্গা শান্তিকর্মী মহিব উল্লাহ হত্যাকাণ্ডে মূল অপরাধী ছিল জুনুনি। এর নির্দেশেই হত্যা করা হয় মহিবকে। এছাড়াও কক্সবাজারে ডিজিএফআই-এর স্কোয়াড্রন লিডার রিজওয়ান রুশদী হত্যায় মূল অভিযুক্ত ছিলেন জুনুনি।
জানা গিয়েছে, হিন্দুদের উপর নির্যাতনের জন্য কুখ্যাত এই জঙ্গি নেতা জুনুনির জন্ম পাকিস্তানের করাচিতে। পরে পরিবারের সঙ্গে আরবে চলে যান তিনি। সেখান থেকেই জঙ্গি সংগঠনের সংস্পর্শে আসেন তিনি। পরে পাকিস্তানে ফিরে জঙ্গি প্রশিক্ষণ নেন জুনুনি। সেখান থেকে আরও উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য চলে যান লিবিয়ায়। প্রশিক্ষণ শেষের পর তাকে পাকিস্তানে এনে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর তরফে পাঠানো হয় মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশে। এবং আরসা নামের এই জঙ্গি সংগঠনের প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এই রাখাইনে হিন্দুদের উপর বেলাগা, নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে এই জঙ্গি নেতার বিরুদ্ধে।