চঞ্চল প্রধান, হলদিয়া: করোনা আবহে রাতবিরেতে বাড়ির কেউ আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে মাথায় হাত পড়ছে। সেই কথা মাথায় রেখেই তৈরি হয়েছে টোটো অ্যাম্বুল্যান্স। রয়েছে অ্যাম্বুল্যান্সের মতোই সুযোগ-সুবিধা। তবে অ্যাম্বুল্যান্সের মতো আকশছোঁয়া ভাড়া নয়। মহিষাদলের আমজনতার জন্য চালু হয়েছে এই পরিষেবা।
এই অ্যাম্বুল্যান্সে অক্সিজেন সিলিন্ডার, স্ট্রেচার যুক্ত বিছানা, ফাস্ট এইড বক্স সবই থাকছে। আর খরচ মাত্র কুড়ি টাকা থেকে সর্বোচ্চ একশো টাকা! পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলে এই টোটো-অ্যাম্বুল্যান্স চালু হওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে খুশির হাওয়া।
[আরও পড়ুন : ‘সংবাদ প্রতিদিন’-এর খবরের জের, খড়গপুরে মালগাড়ি দুর্ঘটনায় জবাব তলব রেল বোর্ডের]
প্রত্যন্ত গ্রামের অসহায় রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে পৌছে দিতে টোটো অ্যাম্বুল্যান্স চালু করেছে মহিষাদলের এক স্বেচছাসেবী সংস্থা। গড়পরতা অ্যাম্বুল্যান্সে রোগী নিয়ে কোথাও যেতে গেলে তার জন্য কম করে দুই থেকে চার হাজার টাকা পেশেন্ট পার্টিকে গুনতেই হয়। উদ্বিগ্ন পরিস্থিতির মধ্যে এ এক বাড়তি ঝামেলা হয়ে ওঠে অনেকের কাছে। তারপর গ্রামের সরু আঁকা-বাঁকা রাস্তায় ঢুকতে গিয়ে নানা ঝঞ্ঝাট লেগেই থাকে। সে সব কথা মাথায় রেখেই টোটো-অ্যাম্বুল্যান্স চালু করেছে মহিষাদলের ওই সংস্থা৷
গ্রামের বাসিন্দা দুখু মিঞা, হরি খুড়ো, বিনু পিসিদের পক্ষে যা ভীষণ কাজের জিনিস৷ কম খরচে গ্রামের গরিব মানুষগুলিকে উপযুক্ত পরিষেবা পৌঁছে দিতে এই অ্যাম্বুল্যান্সের জুড়ি নেই৷ ওই সংস্থার অন্যতম কর্মকর্তা ইন্দ্রদীপ ভৌমিক বলেন, “আমার কাকার স্মৃতির উদ্দেশ্যে পরিবারের পক্ষ থেকে এই অ্যাম্বুল্যান্সটি তুলে দেওয়া হয়েছে ৷ আমি পরিকল্পনা করে এমন টোটো অ্যাম্বুল্যান্স চালু করেছি। অ্যাম্বুল্যান্সটি পরিষেবা দিতে ২৪ ঘণ্টা প্রস্তত।”