বিশ্বজ্যোতি ভট্টাচার্য, শিলিগুড়ি: চুংথাংয়ে লোনাক হ্রদে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণে ভয়াবহ বিপর্যয়ের ২৬ দিন পর স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে বিধ্বস্ত উত্তর সিকিম। বিধিনিষেধের মধ্যে ১ ডিসেম্বর থেকে পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে লাচুং ও ইয়ুংথাং। সিকিম পর্যটন দপ্তরের তরফে ট্যুর অপারেটরদের ওই অনুমতির কথা জানিয়ে বলা হয়েছে লাচেন ও গুরুদংমার বন্ধ থাকছে।
৪ অক্টোবর হড়পা বানে বিপন্ন হয় উত্তর সিকিমের ২২ হাজার ৩৪ জন। একের পর এক দেহ উদ্ধারের সঙ্গে মৃতের তালিকা লম্বা হয়েছে। উড়েছে ১৪টি সেতু। প্রতিটি রাস্তা ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে আটকে পড়েন প্রচুর পর্যটক-সহ সাধারণ মানুষ। এর পর উদ্ধার কাজ শেষ হতে যুদ্ধকালীন তৎপরতার সঙ্গে শুরু হয়ে যায় পুনর্নির্মাণ কাজ। নতুন সাজে সেজে উঠতে শুরু করে গোটা উত্তর সিকিম।
[আরও পড়ুন: তৃণমূল বিধায়ক ও ২ কাউন্সিলরের বাড়িতে CBI, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে জোর তল্লাশি]
ইতিমধ্যে সেখানে তিনদফায় তুষারপাত হয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় এতদিন পর্যটকদের উত্তর সিকিম ভ্রমণের অনুমতি দেয়নি সিকিম প্রশাসন। সিকিম পর্যটন দপ্তরের উপদেষ্টা রাজ বসু বলেন, “এখনও অনেক কাজ বাকি। আপাতত ১ ডিসেম্বর থেকে লাচুং খুলে দেওয়া হচ্ছে। আশা করছি বড়দিনের আগেই খুলে যাবে লাচেন ও গুরুদংমারের দরজা। তবে পর্যটকদের কিছু বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে।”
কী সেই বিধিনিষেধ?
রাজ বসু জানান, পর্যটকদের সংকলন-টং-চুংথাং সড়ক ধরে উত্তর সিকিমে পৌঁছতে হবে। বিকেল চারটের পর গাড়ি চলাচল করতে পারবে না। এমন বিধিনিষেধের কারণ, এখনও নির্মাণ কাজ চলছে। সেনাবাহিনীর তৈরি বেইলি ব্রিজ আপাতত যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। অনেক রাস্তা এখনও মেরামত করা সম্ভব হয়নি। পাহাড় কেটে নতুন রাস্তা তৈরির কাজ চলছে। ওই পরিস্থিতিতেও সিকিম প্রশাসনের সাহসী উদ্যোগে খুশি পর্যটক মহল। এতদিন তারা পূর্ব ও পশ্চিম সিকিম সিকিম ভ্রমণের সুযোগ পেয়েছেন। এবার উত্তর সিকিমের দরজা খুতে শুরু হয়েছে উচ্ছ্বাস।