বিশ্বজ্যোতি ভট্টাচার্য, শিলিগুড়ি: রোদ ঝলমলে নীল আকাশ। ঘুম ভাঙতে দেখা দিলেন ‘ঘুমন্ত বুদ্ধ’ (Sleeping Buddha)! আনন্দে আত্মহারা পাহাড়ের পর্যটকরা। তরাই-ডুয়ার্সের সমতল থেকেও মানুষজন বেলা পর্যন্ত তারিয়ে উপভোগ করলেন কাঞ্চনজঙ্ঘার (Kanchenjungha) সৌন্দর্য। নীল আকাশের ক্যানভাসে শ্বেতশুভ্র কাঞ্চনজঙ্ঘার অপরূপ মাধুর্য। পর্যটন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার পর্যন্ত পাহাড়, সমতলের আবহাওয়া থাকবে রোদ ঝলমলে। আর তাতেই উপভোগ করা যাবে পাহাড় রানির সৌন্দর্য। শনিবার থেকে সিকিম ও দার্জিলিং পাহাড়ের উঁচু এলাকায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। সিকিমে তুষারপাতের (Snowfall) সম্ভাবনাও রয়েছে।
কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের সিকিম (Sikkim) কেন্দ্রের অধিকর্তা গোপীনাথ রাহা বলেন, “শুক্রবার পর্যন্ত পাহাড়ে মনোরম আবহাওয়া মিলবে। রোদ থাকবে। শনিবার থেকে পাহাড়ের উঁচু এলাকায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সিকিমের উঁচু অংশে তুষারপাত হতে পারে।” বৃহস্পতিবার সকালের পর থেকে পাহাড় ও সমতলের তাপমাত্রা সামান্য বেড়ে যায়। যদিও বিকেলের পর ফের তাপমাত্রার পারদ নেমেছে।
[আরও পড়ুন: ভয়ে থমকে যাবে কাসভরা! কলকাতায় সমুদ্রপ্রহরী রণতরী INS Sumitra]
দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ থেকে ৬ ডিগ্রির আশেপাশে ঘোরাফেরা করেছে। তবে বৃহস্পতিবার রোদ ঝলমলে আকাশ থাকায় পাহাড়ে বেড়াতে আসা পর্যটকরা বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার নৈসর্গিক দৃশ্য উপভোগ করেছেন। বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে ভাসলেন তাঁরা। অনেকে কাঞ্চনজঙ্ঘাকে পিছনে নিয়ে নিজস্বীতে (Selfie) মজেছেন। সমতলেও ছিল ফুরফুরে আবহাওয়া। বুধবারের মতো কনকনে ঠান্ডা না থাকায় অনেকেই রাস্তায় নেমেছেন। শিলিগুড়ি (Siliguri) শহরের হিলকার্ট রোডের ফুটপাথ জুড়ে শীতের জামাকাপড় কেনাকাটায় মজেছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি পর্যটকরা। শিলিগুড়ি শহরে দাঁড়িয়েও দেখা গিয়েছে ‘ঘুমন্ত বুদ্ধ’কে।