সুব্রত বিশ্বাস: রেলের সংরক্ষিত টিকিট দালালদের মাধ্যমে চড়া দামে বিক্রির অভিযোগ উঠল শিয়ালদহের দেবগ্রাম স্টেশন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এমনকী প্রতিবাদ করায় যাত্রীদের মারধর করা হয়। পাশপাশি সোনার চেন ও ৬৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগও জানানো হয়েছে। এনিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
জানা গিয়েছে, কৃষ্ণনগর জিআরপি থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন এক যাত্রী। এবিষয়ে শিয়ালদহের এসআরপি জে মারসি জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযোগকারী ওই যাত্রী কৃষ্ণনগর জিআরপিকে অভিযোগ করেন, তাঁরা চার শ্রমিক স্থানীয় দেবগ্রাম স্টেশনে মহারাষ্ট্রে যাওয়ার জন্য রিজার্ভেশন করতে যান। তখন আলমগীর নামের এক বহিরাগত ব্যক্তির থেকে টিকিট নিতে বলেন বুকিং কাউন্টারের কর্মী। অভিযোগ আলমগীর ৭৮০ টাকার সংরক্ষিত টিকিটের দাম ৩ হাজার টাকা চায়।
[আরও পড়ুন: ‘আওয়াজ যেন না থামে’, সন্দেশখালি কাণ্ডে ‘উসকানি’ মিঠুনের?]
এর পর ওই যাত্রীরা টিকিট ঘরে গিয়ে দাবি করেন, রেলের টিকিট কেন দালালের মাধ্যমে কাটতে হবে। সেখানেই দালাল চক্রের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন অভিযোগকারীরা। তার পর তাঁদের মারধর করে সর্বস্ব কেড়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। কর্তব্যরত আরপিএফ ও জিআরপির সহযোগিতা চাইলে তাঁরাও সরে পড়েন বলে অভিযোগে জানানো হয়েছে। এ রপরই স্থানীয়রা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। কৃষ্ণনগর জিআরপি থানায় অভিযোগ জানানোর পরও দালাল দৌরাত্ম্য এখনও রয়েছে বলে অভিযোগকারীদের মত। আলমগীর শেখ, ছোটন শেখ, সিপাহী শেখ, রবি শেখ এই চক্রে সক্রিয় বলে খবর।
অভিযোগকারীরা দালাল চক্রের দৌরাত্ম্যের রমরমা কারবার সক্রিয় হয়ে ওঠার পিছনে আরপিএফ, জিআরপি ও কমার্শিয়াল বিভাগের সরাসরি যোগের অভিযোগ তুলেছেন। শিয়ালদহের সিনিয়র ডিসিএম শান্তনু চক্রবর্তী জানিয়েছেন, অভিযোগকারীরা তাঁর কাছে সরাসরি অভিযোগ জানালে কড়া ব্যবস্থা নেবে রেল। এজন্য তাঁদের ডেকে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছ। আরপিএফ কর্তৃপক্ষও অভিযোগ খতিয়ে পদক্ষেপে নেওয়ার কথা জানিয়েছে। পাশপাশি রোডসাইড স্টেশনগুলোতে দালাল দৌরাত্ম্য বন্ধ করার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে।