সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার রঘুনাথগঞ্জ মঙ্গলজন এলাকায় মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকল এলাকাবাসী। রঘুনাথগঞ্জ থেকে চিকিৎসা করিয়ে বাড়ি ফেরার পথে মঙ্গলজন এলাকায় ৩৪ জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল স্বামী-স্ত্রীর। তবে প্রাণে বাঁচল ছয় মাসের শিশু কন্যা।
মুর্শিদাবাদের সুতি (Suti) থানার গাবগাাছি এলাকার বাসিন্দা আবু তাহের ও তারঁ স্ত্রী সারিফা ইয়াসমিন তাঁদের ছয় মাসের কন্যা সন্তানকে নিয়ে চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন। চিকিৎসা করিয়ে স্কুটিতে করেই বাড়ি ফিরছিলেন তাঁরা। সেই সময় ওমরপুর থেকে ফারাক্কার দিকে যাওয়া একটি চার চাকা গাড়ি সজোরে ধাক্কা মারে আবু তাহেরদের স্কুটিতে। ধাক্কার আঘাতে স্কুটি থেকে ছিটকে পড়েন তাঁরা। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় স্বামী-স্ত্রী ও শিশুকে নিয়ে যান জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে। চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় স্বামী-স্ত্রীর।
[আরও পড়ুন: ভোটপ্রচারে বাধা বন্যপ্রাণী? চা বাগান এলাকায় চিন্তা বাড়াচ্ছে হাতি, চিতাবাঘ]
অন্যদিকে, বাঁকুড়ার পাত্রসায়ের থানা এলাকায় ট্রাক্টর উলটে দুই কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে চারজন। কাদামাখা ট্রাক্টর ধোঁয়ার জন্য নিয়ে যাচ্ছিল এক কিশোর। তার সঙ্গে ছিল আরও জনা সাতেক পাড়ার কমবয়সি ছেলে। তারাও সওয়ার হয়েছিল ওই ট্রাক্টরে। রাস্তায় আচমকা নিয়ন্ত্রণ হারান চালক। রাস্তার পাশে নয়ানজুলিতে উলটে পড়ে ট্রাক্টর। তাতেই চাপা পড়ে মৃত্যু হয় দুই কিশোরের। আহত হয়েছেন চালক-সহ আরও চারজন।
[আরও পড়ুন: লোকসভা ভোটের আগে চাকদহে বিস্ফোরণ, প্রশ্নের মুখে আমজনতার নিরাপত্তা]
দুর্ঘটনার পরেই স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার কাজে হাত লাগান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পাত্রসায়ের থানার পুলিশ। আহতদের উদ্ধার করে সোনামুখী গ্রামীণ হাসপাতালে পাঠায় তারা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম দীপু বাগদি (১৫) ও আবীর বাগদি (১৫)। আহতদের নাম জীবন বাগদি (১৬), আকাশ বাগদি (১৫), বাপ্পা বাগদি (১৩) ও ধর্মরাজ বাগদি (১৪)। তাদের প্রত্যকের বাড়ি পাত্রসায়ের থানার আসনবুনি গ্রামে। আহতদের মধ্যে ট্রাক্টর চালক জীবন বাগদির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। বাকিদের বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। বিষ্ণুপুরের এসডিপিও সুপ্রকাশ দাস বলেন, “কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল তার তদন্ত শুরু হয়েছে।”