সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শীতের পালা এলেই অনেকের ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান শুরু হয়ে যায়। কেউ জলে-জঙ্গলে যেতে পছন্দ করেন, কারও আবার কুয়াশামাখা পাহাড় পছন্দ। এই সময়টা এলেই বহু মানুষের ট্রেকিংয়ের প্ল্যান শুরু হয়ে যায়। পায়ে হেঁটে ক্লান্তিভরা চোখে পাহাড় দেখার মজাই আলাদা। তবে যদি প্রথমবার ট্রেকিংয়ের যাওয়ার প্ল্যান করে থাকেন তাহলে কয়েকটি বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখা প্রয়োজন। নাহলে সমস্যা হতে পারে।
ছবি: সংগৃহীত
শীতে ট্রেকিংয়ে যাচ্ছেন বলেই একগাদা শীতের পোশাক নেবেন না। ট্রেকিংয়ের সময় লাগেজ যত হালকা রাখবেন ততই সুবিধা হবে। তাহলে শীতের মোকাবিলা করবেন কীভাবে? এমন গরমজামা নেবেন যা বেশি শীতে পরা যায়। চাইলে কডসুলও নিয়ে নিতে পারেন। আর যেখানে যাচ্ছেন অবশ্য সেখানকে ওয়েদার ফোরকাস্ট জেনে রাখবেন। এতে আপনারই সুবিধা হবে।
ট্রেকিং মানে কিন্তু কোনও বিলাসবহুল হোটেলে থাকা নয়। সব জায়গায় যে স্নানের সুব্যবস্থা পাবেন তার কোনও নিশ্চয়তা নেই, তাই নিজের সহ্গে সুগন্ধী রাখতে ভুলবেন না। স্নান করার সুযোগ না পেলে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার ব্যবস্থা আর কী!
শুধু ট্রেকিং নয়, যেকোনও জায়গায় বেড়াতে যাওয়ার ক্ষেত্রে ফার্স্ট এইড সঙ্গে রাখা প্রয়োজন। সর্দিকাশি, জ্বর, পেটখারাপের ন্যূনতম ওষুধপত্র নেওয়াও একই রকম জরুরি। ভারতের জলবায়ুতে শীত শুষ্ক। তাই টের না পেলেও শরীরে জলের ঘাটতি ঘটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। সুতরাং জল পরিশুদ্ধ করার প্রয়োজনীয় ওষুধ নেবেন মনে করে।
ছবি: সংগৃহীত
ট্রেকিং চলাকালীন কখন কোথায় খাবার পাবেন তা আগে থেকে জানা বা বলা মুশকিল। তাই সঙ্গে কিছু শুকনো খাবার রেখে দেবেন। যেমন বিস্কুট-কেক। ড্রাই ফ্রুটসও রাখবেন। এছাড়া সঙ্গে রাখতে পারেন কয়েকটা এনার্জি ড্রিঙ্কস। কারণ, হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত হলে এগুলো কাজে আসবে।
রাস্তায় থাকতে হতে পারে। তাই সঙ্গে তাঁবু থাকা দরকার। হালকা তাঁবু কিনতে পাওয়া যায়। তা সঙ্গে রাখবেন। যেহেতু আপনি নতুন তাই চেষ্টা করবেন সঙ্গে যেন একজন গাইড থাকেন। আর যে জায়গায় যাচ্ছেন, সেখানে আগে থেকেই খোঁজ নিয়ে নিন ক্যাম্পিংয়ের ব্যবস্থা কেমন। তাহলে সুবিধা হবে।