মনিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: গড়চুমুক পর্যটন কেন্দ্রের মিনি জুয়ে বাঘ নিয়ে আসার প্রক্রিয়া শুরু হল। এখানে বাঘ থাকার পরিবেশ রয়েছে কিনা ইতিমধ্যে তা নিয়ে পরিদর্শন হয়ে গিয়েছে। এবার খাঁচা নির্মাণের নকশা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে বনদপ্তর ও রাজ্য জু অথরিটি। কয়েকদিনের মধ্যে সেটা তৈরি হয়ে গেলে তা পাঠানো হবে ন্যাশনাল জু অথরিটির কাছে এবং সেটা তারা অনুমোদন পেলেই বাঘের খাঁচা তৈরির কাজ শুরু হবে তার পরেই তা নির্মাণ সম্পন্ন হলেই বাঘ আসবে গড় চুমুক মিনি জুয়ে।
খাঁচার নকশা তৈরির জন্য মঙ্গলবার এই মিনি জুয়ে আসেন রাজ্য জু অথরিটির বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা দিন তিন-চারেক এখানে থাকবেন। প্রস্তাবিত বাঘের খাঁচার নকশা তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছেন বলে এই চিড়িয়াখানার দায়িত্বপ্রাপ্ত রেঞ্জ অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে। বনদপ্তরের এক কর্তা জানান, শীঘ্রই নকশা তৈরি হয়ে গেলে তা ন্যাশনাল জু অথরিটির কাছে পাঠানো হবে। অনুমোদন দিলে কাজ শুরু হবে এবং তার পরেই বাঘ আনা হবে। কেন্দ্রীয় জু অথরিটির টাকাতেই খাঁচা নির্মাণ-সহ বাঘ রাখার জন্য যাবতীয় পরিকাঠামো তৈরির কাজ হবে।প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধু বাঘ নয়, পরবর্তীকালে হায়নাও আনা হবে।
৭৩ একর জায়গার উপর বাম আমলে তৈরি হয় এই পর্যটন কেন্দ্রটি। তখন এটির নাম ছিল মৃগ দাব। ছিল শুধু হরিণ, সজারু আর গুটিকয়েক পাখি। এটি পরিচালনার দায়িত্ব ছিল হাওড়া জেলা পরিষদের। তৃণমূলের সময়ে কয়েক বছর আগে এর আমূল উন্নতি সাধনের পরিকল্পনা করা হয়। এই জায়গা দুটো ভাগ করা হয়। একটা অংশ দেওয়া হয় বনদপ্তরকে এবং আরেকটি অংশ দেখভাল করতো হাওড়া জেলা পরিষদ। যদিও বর্তমানে জেলা পরিষদ তার দেখভালের অংশটুকু বেসরকারি সংস্থাকে লিজ দিয়ে দিয়েছে। বনদপ্তরের জায়গায় আমূল পরিবর্তনও করেছে। বর্তমানে এই পর্যটন কেন্দ্রের নাম হয়েছে গড়চুমুক জুওলজিক্যাল পার্ক। সেখানে রয়েছে কুমির, নীলগাই, এমু, ম্যাকাও, ময়ূর-সহ পঞ্চাশের বেশি প্রজাতির পাখি। আনা হয়েছে পাইথন, বাঘরোলের মতো প্রাণীদের। তৈরি হচ্ছে বাটারফ্লাই পার্ক। এছাড়া বাঘরোল, কচ্ছপ-সহ চারটি প্রাণীর প্রজনন কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে। ফলে সারাবছর এখানে পর্যটক লেগেই থাকে। আর পর্যটনের চার মাস তো এখানে পা ফেলা দায়। ফলে বাঘ এবং হায়না আসলে এই পর্যটন কেন্দ্রেও পর্যটকদের কাছে নতুন মাত্রা পাবে।