সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাঙালির প্রিয় দার্জিলিং। তা নিয়ে কোনও দ্বিমতের অবকাশ নেই। শৈলশহরের আশেপাশের জায়গাও কিন্তু বেশ সুন্দর। বিশেষ করে চটকপুর। দার্জিলিংয়ের থেকে এই পাহাড়ি গ্রামের উচ্চতা প্রায় হাজার ফুট বেশি। সারি সারি পাইন গাছ, স্নিগ্ধ বাতাস আর কাঞ্চনজঙ্ঘার মনমোহিনী রূপ দেখতে চাইলে এবারের শীতে ঘুরে আসতেই পারেন।
জগদ্ধাত্রী পুজো শেষ হতে চলল। এবার শীতের পালা। এই সময়ই অনেকে পাহাড়ে যেতে ভালোবাসেন। আপনি সেই দলে থাকলে এবারে চট করে চটকপুরে ঘুরে আসতেই পারেন। প্রাকৃতিক রূপকে হাতেকলমে উপভোগ করতে হলে চটকপুরের বিকল্প হতে পারে না। দার্জিলিং থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার এবং সোনাদা থেকে ১০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই পাহাড়ি গ্রাম। ঘুম, সোনাদা হয়ে যেতে হয় চটকপুরে। সমস্যা একটাই, চটকপুর যাওয়ার রাস্তা মোটেই সুখকর নয়, বেশ কাঠখড় পুড়িয়েই পৌঁছাতে হয় এই গ্রামে।
ছবি: সংগৃহীত
তাতে কী? খারাপ রাস্তা পেরিয়ে আপনি পাহাড়ের কোলের এই ছোট্ট গ্রামটিতে পৌঁছালে, আপনি রাস্তা খারাপের বিরক্তি ভুলে যেতে বাধ্য। জঙ্গল, পাখি, প্রকৃতি অনুভব করতে চাইলে বেরিয়ে আসুন চটকপুরে। আর পাঁচটা তথাকথিত পর্যটনকেন্দ্রের মতো সুসজ্জিত নয় এই গ্রাম। তবে, কালাপোখড়ি, লাভার্স পয়েন্ট এবং সানরাইজ পয়েন্টের মতো জায়গাগুলি আপনার রোজকার একঘেয়েমি কাটিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। সবই পায়ে হেঁটে যেতে হবে আপনাকে।
কালাপোখড়ি আসলে ছোট একটা জলাশয়ের মধ্যে বড় একটা পাথর। পুজো করা হয় ওই পাথরটিকে। জঙ্গলের প্রাণীরা এখানে জল খেতে আসে। তাই পশু দেখার জন্য কালাপোখড়ি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। জঙ্গলের ভিতর দিয়ে অল্প হেঁটে আপনি পৌঁছে যেতে পারেন লাভার্স পয়েন্ট এবং সানরাইজ পয়েন্টে। তবে, চটকপুরের আসল মজা ভোরবেলা এবং সন্ধ্যার দিকে। পাইনের জঙ্গলের নীরবতার মধ্যে পাখির কলতান আপনার মন ভরিয়ে দেবে । ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে অচেনা পাখিরও দেখা মিলতে পারে। হাতের কাছে লেন্সবন্দি করে নেবেন সেইসব অচেনা অতিথিদের।
ছবি: সংগৃহীত
কীভাবে যাবেন-
দার্জিলিং থেকে ২৫ কিলোমিটার এবং সোনাদা থেকে ১০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত চটকপুর। দার্জিলিং থেকে ঘুম, সোনাদা হয়ে আপনি পৌঁছাতে পারেন এই জায়গায়। বড় গাড়ি ভাড়া করলে আপনার খরচ পড়তে পারে অন্তত ১৫০০ টাকা থেকে ২৫০০ টাকা৷
কোথায় থাকবেন-
চটকপুর ইকো ভিলেজে অনেকগুলো হোম স্টে রয়েছে। তার মধ্যে ধনমায়া নিবাস হোম স্টে বেশ বিখ্যাত। অনলাইনেই এই হোম স্টে বুকও করতে পারবেন আপনি।