সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সামনেই দিওয়ালি। তার পর ভাইফোঁটা। ব্যস উৎসব শেষ। তার পর? তার পর মন কেমনের পালা কাটাবে হালকা শীতের পরশ। বেড়াতে যাওয়ার এই তো সময়। হাতে সময় থাকলেই বেরিয়ে পড়তে পারেন। আপনার অপেক্ষাতেই রয়েছে সুন্দরী বিক্সথাং (Biksthang)। প্রকৃতির এমন এক স্বর্গরাজ্য যা আপনার যাযাবর মনকে তৃপ্ত করবে।
ছবি: ফেসবুক
পশ্চিম সিকিমে অবস্থিত পাহাড়ে ঘেরা ছোট্ট গ্রাম বিক্সথাং। গ্যাংটক (Gangtok) শহর থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার দূরে। আধুনিকতার ধরাছোঁয়ার বাইরে প্রকৃতির একান্ত আপন এই গ্রাম। লোকগান অনুযায়ী বিকস্থাং নামটি লেপচা শব্দ বিকমন থেকে নেওয়া হয়েছে। যার অর্থ এমন জায়গা যেখানে বাঘ গরুকে ভক্ষণ করেছিল। ভুটিয়াদের মতে আবার ‘বিক্সথাং’ শব্দের অর্থ সেই স্থান যেখানে বিশেষ পাথর পাওয়া যায়।
অবশ্য মানে বোঝার মাথার দিব্যি এখানে কেউ দেবে না। মনমোহিনী বিক্সথাংয়ের সৌন্দর্যে শুধু নিজেকে সঁপে দিন। ভালোবাসার একটু ছোঁয়া পেলেই প্রকৃতির এই নতুন ঠিকানা সকলকে আপন করে নেয়।
ছবি: ফেসবুক
কী কী দেখার রয়েছে?
সবুজে ঘেরা এই গ্রাম থেকে অবশ্যই দেখা যাবে সাদা বরফে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
একাধিক মনেস্ট্রি রয়েছে এখানে। দেখতে পাওয়া যাবে ডুবদি বা দুধি মনেস্ট্রি, সাং চোলিং মনেস্ট্রি, তাশিডিং মনেস্ট্রি, পেমায়াংস্তে মনেস্ট্রি।
পাহাড়ের নির্জনতায় বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের মন্ত্রোচারণ আপনাকে জীবনের অন্য স্তরে নিয়ে যাবে।
এছাড়াও রয়েছে পয়জন পোখরি (লেক), ফুরসাচো হট স্প্রিং (Phurchachu)। যা গ্যাংটকের চারটি পবিত্র গুহার কাছাকাছি অবস্থিত।
হিমালয়ের পাখিদের দর্শন পাবেন।
সারি সারি ওক-পাইন দেখতেও চলে যেতে পারেন।
আবার চাইলে হর্স রাইডিংও করতে পারেন।
কীভাবে যাবেন? কোথায় থাকবেন?
শিলিগুড়ি থেকে সুমো পেয়ে যাবেন। চাইলে শেয়ারও নিয়ে নিতে পারেন। জোরথাংয়ে নেমে যাবেন। সেখান থেকে বিক্সথাং যাওয়ার গাড়ি পেয়ে যাবেন। বিক্সথাংয়ে একটি হেরিটেজ ফার্মহাউস রয়েছে। ইন্টারনেট ঘাঁটলেই নম্বর পেয়ে যাবেন। রয়েছে হোম স্টে’র সুবিধাও।