সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অচিন গাঁয়ের কথা অনেক শুনেছেন। এবার বলি এমন এক গ্রামের কথা যার একদিকে রয়েছে ভারতবর্ষ, অন্যদিকে ভুটান। মাঝে দাঁড়িয়ে একটা গানই মনে আসবে, "পঞ্ছি নদিয়া পবন কে ঝোকে, কোই সরহদ না ইনহে রোকে..."। বাঙালির প্রিয় উত্তরবঙ্গেই রয়েছে এই জায়গা।
ছবি: সংগৃহীত
শিলিগুড়ি শহর থেকে ১০৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পশ্চিমবঙ্গের এই গ্রাম। যার নাম বিন্দু। বলা হয়, এটিই ভারত-ভুটান সীমান্তের শেষ গ্রাম। জলপাইগুড়ি থেকে বিন্দুর দূরত্ব ৮৫ কিলোমিটার। আবার কালিম্পং থেকে এটি ১২১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। শিলিগুড়ি বা জলপাইগুড়ি যেখান থেকে ইচ্ছে রওনা দিতে পারেন। মাঝে পড়বে করোনেশন ব্রিজ। ব্রিটিশ আমলে তৈরি এই ব্রিজে একটু দাঁড়াতেই পারেন। পাহাড়ের মাঝে তিস্তার সৌন্দর্য দেখতে দারুণ লাগে।
ছবি: সংগৃহীত
[আরও পড়ুন: ভোট প্রচারে সায়নীর ‘ডিম টোস্ট’, রান্নায় করলেন কামাল]
এর পরের গন্তব্য ঝালং ভিউ পয়েন্ট। রাস্তার উপর থেকেই দেখতে পাবেন জলঢাকা নদী। আবার বিন্দু গ্রামের টপ ভিউ এখান থেকে দারুণ দেখা যায়। দূরে ভুটানের পাহাড়ের শোভা দেখতে বেশ লাগে। ঠিকঠাক খাওয়ার জায়গাও এখানে পেয়ে যাবেন। পাহাড়-নদী দেখতে দেখতে মোমো, চাউমিন কিংবা চা উপভোগ করে নিতে পারেন।
ছবি: সংগৃহীত
এবার চলুন বিন্দুর দিকে। চারপাশের প্রকৃতি দেখতে দেখতে কখন যে ভারত-ভুটান সীমান্তে পৌঁছে যাবেন বুঝতেও পারবেন না। বিন্দুতেই রয়েছে জলঢাকা ব্যারেজ। তার পরই ভুটান। এমনিতে ভুটানের সঙ্গে ভারতের ভালো সম্পর্ক। তবে এই পথ সেখানে যাওয়ার জন্য। এ শুধু এক দেশে দাঁড়িয়ে অন্য দেশকে চাক্ষুষ করার আনন্দ। আর পাথরের উপর আছড়ে পরা জলরাশি দেখার সুখ। ছোট ছোট বাড়ি বিন্দুতে। রঙিন জানলার পাশে সুন্দর অর্কিডও দেখতে পারেন। আকাশ পরিষ্কার থাকলে হিমালয়ে বরফশৃঙ্গ দেখার সৌভাগ্যও হবে। থাকার জন্য হোমস্টে এখানে পেয়ে যাবেন। আবার ঝালংকেও থাকার জায়গা হিসেবে বেছে নিতে পারেন।
ছবি: সংগৃহীত