স্টাফ রিপোর্টার: করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) তৃতীয় ঢেউয়ের ভ্রূকুটি রয়েইছে। বারবার সাবধানবাণীও শোনাচ্ছেন চিকিৎসকরা। কিন্তু তাতে কী? মহামারীর প্রকোপ সামান্য কমতেই পুজোয় বেড়ানোর (Travel) যাবতীয় প্ল্যান সেরে ফেলেছে বাঙালি। হাজারও নিয়মের বেড়াজাল ভেঙেই উত্তরবঙ্গ থেকে গোয়া বা সিকিম থেকে মন্দারমণি। সর্বত্রই মানুষ বেড়াতে যাচ্ছেন। হোটেল, হোম-স্টে গুলিতে তাই পর্যটকদের চাহিদা তুঙ্গে।
একটু মনের মতো ঘরের আশা আর ট্রেনে ‘কনফার্মড সিট’। এটুকুই চাওয়া। হোটেল পাওয়া নিয়ে যেমন অনিশ্চয়তা থাকছে, ট্রেনের (Trains) ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। দার্জিলিং মেল, পদাতিক এক্সপ্রেস থেকে শুরু করে রাজধানী বা শতাব্দী ‘স্পেশ্যাল’। পুজোর সময় টিকিট কাটতে গেলে অধিকাংশ ট্রেনেই টিকিট ওয়েটিং লিস্ট (Waiting List) দেখাচ্ছে। ফলে তৃতীয় ঢেউয়ের কারণে যাঁরা আগে থেকে টিকিট কাটেননি বেড়াতে যাওয়ার, তাঁরা পড়েছেন সমস্যায়। দূরপাল্লার বাসগুলিতেও টিকিটের ভালই চাহিদা রয়েছে।
[আরও পড়ুন: COVID-19: পর্যটকদের প্রবেশের অনুমতি দিল আরব আমিরশাহী, বিশেষ শর্ত ভারতীয়দের জন্য]
পুজো থেকেই মূলত বেড়াতে যাওয়ার মরশুম শুরু হয়। গত বছর করোনার কারণে পর্যটন ব্যবসায় (Tourism) মন্দা গিয়েছে। কিন্তু এবার একটু হলেও ভাল। অন্তত তেমনটাই বলছেন ট্রাভেল এজেন্টরা। তাঁদের দাবি, উত্তরবঙ্গে বেড়াতে চাহিদা বেশি। প্রচুর মানুষ সিকিমও ঘুরতে যাওয়ার প্যাকেজের খোঁজ করছেন। তবে তিনদিন-দু’রাতের প্যাকেজের চাহিদা সবথেকে বেশি। সুন্দরবন, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রামে যাওয়ার আগ্রহ চোখে পড়ার মতো। যে কারণে টুর অ্যান্ড ট্রাভেল এজেন্টদের অফিসেও বার বার খোঁজ চেয়ে ফোন আসছে। বুকিংয়ের স্টেটাসও বেশ ভালই।
[আরও পড়ুন: Travel News: কংসাবতীর তীরে শাল-পিয়ালের জঙ্গল, করোনা আতঙ্ক কাটিয়ে ডাকছে মুকুটমণিপুর]
পুজো মানেই বাঙালির বেড়াতে যাওয়া। কেউ কেউ তো মহালয়ার দিনই বেরিয়ে পড়েন। আবার কেউ যান পুজোর ছুটির মধ্যে। কেউ দশমীর পর ঘুরতে গিয়ে ছুটি কাটান লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত। অন্যবার এমনই সব দিন গুনে বিভিন্ন প্যাকেজ রাখেন টুর অপারেটররা। গত বছর করোনার প্রকোপে বেড়াতে যাওয়া আর সেভাবে হয়নি বাঙালিদের। তাই যতই করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের (Third wave) সতর্কবাণী থাক না কেন, নিজেদের মতো প্ল্যান সেরে ফেলছেন ভ্রমণপ্রেমীরা। মনের মতো হোটেল বা হোম স্টে বুক করে ফেলছেন। ট্রাভেল এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গলের প্রাক্তন সম্পাদক নীলাঞ্জন বসু বলেন, “গত বছরের থেকে পর্যটন ব্যবসা অনেকটাই ভাল। ছোট ছোট টুরের চাহিদা বাড়ছে।”