সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: দণ্ডি কেটে তৃণমূলে (TMC) ফেরার বিষয়টি নিয়ে এখনও রাজনৈতিক মহলে চলছে চাপানউতোর। এর মাঝে আদিবাসী (Tribal)সেঙ্গেল অভিযানের ডাকে ১২ ঘণ্টা বন্ধ চলছে বাংলাজুড়ে। সকাল থেকে উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর-সহ একাধিক জেলায় নিজেদের কর্মসূচি সফল করতে তির-ধনুক হাতে রাস্তায় নেমেছেন সংগঠনের সদস্যরা। অভিযোগ, যান চলাচল আটকে দেওয়া, দোকানপাট খুলতে বাধা দেওয়া হচ্ছে।
সোমবার দিনের শুরুতেই বালুরঘাট-সহ দক্ষিণ দিনাজপুর (South Dinajpur) জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বন্ধের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। ভোরবেলা বেশ কয়েকটি সরকারি বাস স্ট্যান্ড থেকে বেরলেও ছবিটা বদলে যায় বেলা গড়াতেই। বালুরঘাট (Balurghat) মঙ্গলপুর এলাকায় রাস্তা আটকে অবরোধ করে আদিবাসীরা। যদিও গোটা শহর জুড়ে পুলিশি নিরাপত্তা অনেকটাই বাড়ানো হয়েছে। সরকারি বা বেসরকারি গাড়ির দেখা নেই। দোকানপাট সাধারণ দিনের থেকে অনেকটাই কম খুলেছে বলে জানিয়েছেন সেঙ্গেল অভিযানের আন্দোলনকারীরা। তাঁদের দাবি, দণ্ডি কাণ্ডে তৃণমূলের প্রাক্তন মহিলা জেলা সভাপতি প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে গ্রেপ্তার করতে হবে।
[আরও পড়ুন: ৭২ ঘণ্টার ম্যারাথন জেরা, অবশেষে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার জীবনকৃষ্ণ সাহা]
এছাড়া উত্তর দিনাজপুরের (North Dinajpur) চোপড়ার কালাগছ ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক, রায়গঞ্জের শিলিগুড়ি মোড় অবরোধ করে চলছে আদিবাসীদের প্রতিবাদ। ঐতিহ্যের তির-ধনুক হাতে নিয়ে রাস্তা অবরোধ করছেন তাঁরা। একই ছবি মালদহেও (Maldah)। হবিবপুর, আলমপুর, আট মাইলের রাস্তা অবরোধ আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের কর্মসূচিতে।
[আরও পড়ুন: মরুভূমিতে খাবার খুঁজতে গিয়ে মর্মান্তিক পরিণতি, সিরিয়ায় আইএস জঙ্গিদের হাতে খুন ৩১]
পুরুলিয়া, বাঁকুড়াতেও বন্ধের খানিকটা প্রভাব পড়েছে। সকাল থেকে পুরুলিয়ার (Purulia) আড়শা এলাকার কান্টাডি, সাতুড়ি, আহারার মোড় ও কাশীপুরে সড়ক অবরোধ করেন সেঙ্গেল অভিযানের সদস্যরা। হাতে পতাকা, ব্যানার নিয়ে নিজেদের দাবিতে সরব হন তাঁরা। তবে ৪৫ মিনিট পর বিক্ষোভ উঠে যায়। রেলপথে অবশ্য কোনও অবরোধ হয়নি।
সপ্তাহের প্রথম কর্মব্যস্ত দিনে বন্ধের জেরে নিত্যযাত্রীরা সমস্যায় পড়েছেন। বিশেষত দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় সরকারি, বেসরকারি বাস,গাড়ি সেভাবে চলছে না। গন্তব্যে যেতে সমস্যায় পড়ছেন তাঁরা। যদিও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশি কড়াকড়ির মধ্যে বিক্ষোভ ধীরে ধীরে উঠছে।