সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘ঝুকেগা নহি সা**’। ভরা জনসভায় সুপারহিট ছবি ‘পুষ্পা’র এই সংলাপ বলেই বিতর্কের মুখে পড়েছেন বাংলার প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা রাজ্যের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি।
বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের উদ্বুদ্ধ করতে গিয়ে আল্লু অর্জুনের বক্স অফিস কাঁপানো সিনেমার শরণামন্ন হন মনোজ (Manoj Tiwari)। রবিবার জনসভায় দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, বিরোধীদের সঙ্গে লড়াই করতে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সেই প্রসঙ্গেই গেরুয়া শিবিরের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, ‘ঝুকেগা নহি সা**’। বিজেপি নেতাদের চোখ-কান খুলে এই সংলাপ শুনে নেওয়ার হুঙ্কার দেন তিনি। আর এতেই তৈরি হয় যাবতীয় বিতর্ক।
[আরও পড়ুন: শুভেন্দুর রক্ষাকবচের বিরোধিতা, হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে গেল রাজ্য]
মনোজ তিওয়ারিকে একহাত নিয়ে বিজেপি নেতা (BJP Leader) উমেশ রাই বলে দেন, তৃণমূল নেতার এহেন বক্তব্য আসলে দলের চরিত্রটাই তুলে ধরে। গোটা তৃণমূল দলটাই পুষ্পা (Pushpa) ছবির মতো। উমেশ রাইয়ের কথায়, “বাংলার সরকারটাই তো পুষ্পা ছবির মতো। একজন চন্দন কাঠ পাচারকারী যেভাবে কথা বলে, তৃণমূলের নেতাও একইরকম ভাবে কথা বলে। ঝুকেগা নহি সা** বলে। এতেই তৃণমূল দলটার আসল চেহারা ধরা পড়ে।” বাংলায় যুবপ্রজন্মের অধিকার খর্ব করা হচ্ছে, তাঁদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারের দিকে এগিয়ে চলেছে বলেও দাবি করেন উমেশ রাই।
তবে বিতর্ক দানা বাঁধার পরই ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামেন মনোজ। জনসভায় ‘পুষ্পা’র ওই সংলাপ নিয়ে মনোজকে প্রশ্ন করা হলে তৃণমূল নেতা বলে দেন, এর জন্য তিনি ক্ষমাপ্রার্থী। “আমার প্রকাশ্যে ওভাবে কথা বলা উচিত হয়নি।” বলেন মনোজ তিওয়ারি। উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাংলায় প্রচারে এসে ছবির সংলাপ বলা বিতর্ক তৈরি করেছিলেন বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। নিজের ছবির সংলাপ বলায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। বলেছিলেন, “আমি জলঢোড়াও নই, বেলেবোড়াও নই, আমি জাত গোখরো। এক ছোবলে ছবি।” মিঠুনের বিরুদ্ধে হুমকির অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনার জল গড়ায় আদালত পর্যন্ত।