স্টাফ রিপোর্টার: টার্গেট লোকসভার ৪২ কেন্দ্রই। চব্বিশের ভোটের আগে ফের তৃণমূল স্তরে কর্মীদের উজ্জীবিত করতে ঢালাও কর্মসূচি সাজাচ্ছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। শারদীয় উৎসবের মরশুম শেষ হলেই নভেম্বর মাসের শেষ থেকে দলীয় এই কর্মসূচি শুরুর নির্দেশ পৌঁছবে ব্লকে ব্লকে। প্রচারে রাজ্য সরকারের উন্নয়নের কর্মসূচি পুস্তক আকারে যেমন প্রতিটি লোকসভা ভিত্তিক তৈরি করে পাঠানো হবে, তেমনই বিরোধীদের বিরুদ্ধে দলের প্রচারের গাইড লাইন কী কী হবে তা-ও ঠিক করে দেওয়া হবে রাজ্য তৃণমূলের তরফে।
পঞ্চায়েত স্তর থেকে দলকে স্বচ্ছতার মোড়কে আনার পাশাপাশি কর্মীদের উজ্জীবিত করতে রাজ্যজুড়ে নির্বাচনের আগেই নবজোয়ার যাত্রা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ৫১ দিনের লাগাতার সেই কর্মসূচি একদিকে যেমন ব্লকে ব্লকে দলীয় কর্মীদের মধ্যে ব্যপক সাড়া ফেলেছিল ঠিক তেমনই বিরোধীদের বিরুদ্ধে পালটা লড়াইয়ে উৎসাহ পেয়েছিল। কিন্তু লোকসভা ভোটের আগে একদিকে যেমন সর্বভারতীয় স্তরে ‘ইন্ডিয়া’ জোট গঠন করার কাজ সেরে ফেলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অন্যদিকে দলীয় কর্মীদের ‘চার্জ’ করতে এবার একগুচ্ছ কর্মসূচি চূড়ান্ত করছেন শীর্ষ নেতৃত্ব। পঞ্চায়েত ভোটের মতো লোকসভা নির্বাচনেও ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনার মতো বড় ইস্যু এবং বাংলাকে বঞ্চনার অভিযোগ যে বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ইস্যু হবে তা নিশ্চিত। এর সঙ্গে ১০০ দিনের বকেয়া পাওনার দাবিতে আগামী ২ অক্টোবর দিল্লিতে রাজঘাটে ধরনায় থাকছেন মমতা-অভিষেক।
[আরও পড়ুন: বসিরহাটের স্কুল হস্টেলে র্যাগিং সিনিয়রদের! ‘বাঁচতে’ পলাতক তিন নাবালক পড়ুয়া]
ওই কর্মসূচিতে অংশ নিতে দলের বিধায়ক ও জেলা পরিষদ সভাধিপতিদের ১ অক্টোবরের মধ্যে পৌঁছতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংসদের অধিবেশন চলার কারণে সাংসদরাও আগে থেকেই দিল্লিতে থাকবেন। একটি বিষয় স্পষ্ট, কেন্দ্রীয় বঞ্চনার মতো সিরিয়াস ইস্যুকে সামনে রেখেই লোকসভা ভোটের লড়াইয়ে নামছে রাজ্যের শাসকদল। বস্তুত সেই কারণে পাহাড় থেকে সাগর, একেবারে বুথস্তর থেকে দলকে ভোটের ময়দানে সর্বশক্তিতে নামিয়ে দিতে পুজোর পর কর্মসূচি শুরু করছে তৃণমূল।