সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জাতীয় টেবিল টেনিস তারকার অস্বস্তি আরও বাড়ল। এবার আরও দুই কিশোরীর সঙ্গে অলিম্পিয়ান টিটি খেলোয়াড় সৌম্যজিৎ ঘোষের শারীরিক সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে এল।
বারাসতের যে তরুণীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ ও জোর করে গর্ভপাত করানোর অভিযোগ সৌম্যজিতের বিরুদ্ধে, তিনিই এবার এই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন। অভিযোগকারিনীর দাবি, তাঁর আগেও দু’জনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল সৌম্যজিতের। শারীরিক সম্পর্কের পর দু’টি প্রেমই ভেঙে দেন তিনি। এই দাবির প্রমাণস্বরূপ সৌম্যজিতের সঙ্গে ফেসবুক চ্যাটের ছবিও প্রকাশ্যে এনেছেন ওই তরুণী। আগের সম্পর্কগুলির কথা সেখানে নিজেই স্বীকার করেছে সৌম্যজিৎ, দাবি বারাসতের ওই তরুণীর।
[ডামাডোলের মধ্যেই প্র্যাকটিসে হাজির পদত্যাগী বাগান কর্তা সৃঞ্জয়-দেবাশিস]
২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত প্রেমের সম্পর্ক থাকাকালীন বারাসতের ওই তরুণীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সৌম্যজিৎ তাঁকে একাধিকবার ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যে তাঁদের বাড়িতে বিয়ের পাকা কথাও হয়ে গিয়েছিল। চলতি বছর এপ্রিল মাসে বিয়ে হওয়ারও কথা ছিল তাঁদের। ওই তরুণীর অভিযোগ, ২০১৬ সালে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন তিনি। তা জানার পর ছলে-বলে ওই তরুণীকে নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে জোর করে গর্ভপাত করান সৌম্যজিৎ ও তাঁর আত্মীয়রা। তারপর থেকে ক্রমশ দূরত্ব বাড়িয়ে শেষমেশ বিয়ে করতে অস্বীকার করেন সৌম্যজিৎ। এরপরই নিজের অধিকার ফিরে পাওয়ার দাবিতে বারাসত মহিলা থানায় সৌম্যজিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ওই তরুণী। যার জেরে আপাতত সাময়িকভাবে সাসপেন্ড করা হয়েছে জাতীয় ওই টিটি তারকাকে। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণ, ভ্রূণহত্যা-সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এসবের মধ্যে শনিবার সৌম্যজিতের বিরুদ্ধে অভিযোগের সুর আরও চড়িয়ে ওই তরুণী দাবি করেন, তিনি একা নন, সৌম্যজিতের প্রতারণার শিকার হয়েছেন আরও দু’জন।
এদিন বারাসতের ওই তরুণী, তাঁর সঙ্গে সৌম্যজিতের ফেসবুক চ্যাটের ছবি প্রকাশ্যে আনেন। সেখানে দু’জনের কথোপকথন স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।
তরুণী: এমন কী ঘটে যে বার বার ফিজিক্যাল হওয়ার পর ব্রেকআপ (বিচ্ছেদ) হয়ে যায়?
সৌম্যজিৎ: আমি জানি না। আমি বাজে। এটাই শুনতে চাও তো?
তরুণী: না, আমি কারণ শুনতে চাই।
সৌম্যজিৎ: প্রথমটা মা বলেছে করতে। আর দ্বিতীয় মেয়েটা আমায় ছেড়েছে। আমি ঠিক জানি না কেন ছেড়েছে।
[শামিকে কাঠগড়ায় তুলে মমতার সঙ্গে সাক্ষাৎ হাসিনের, কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?]
বারাসতের এই তরুণী জানিয়েছেন, সৌম্যজিৎ যখন তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন তখন তিনি নাবালিকা, ক্লাস নাইনে পড়তেন। শারীরিক সম্পর্ক করার পর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সৌম্যজিৎ ওই তরুণীর পরিবারের থেকে একটি জমিও নিজের নামে লিখিয়ে নেন বলে অভিযোগ। বিয়ের জন্য একটি ইনোভা গাড়ি ও দশ লক্ষ টাকাও দাবি করেন। তাঁর সব শর্তে রাজি হলেও শেষমেশ বিয়েতে বেঁকে বসেন। ইতিমধ্যেই কমনওয়েলথ গেমসের দল থেকে বাদ পড়েছেন সৌম্যজিৎ।
The post বিপাকে সৌম্যজিৎ, আরও দুই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ‘ফাঁস’ করলেন তরুণী appeared first on Sangbad Pratidin.