সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দু’দেশের সম্পর্কের অবনতি হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। তাতেও কৃষকদের পাশ থেকে সরছে না কানাডা (Canada) সরকার। শনিবার আরও একবার তা সাফ জানিয়ে দিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (Justin Trudeau)।
এদিকে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর পর কৃষকদের (Farmers Protest) পাশে দাঁড়ালেন ৩৬ জন ব্রিটিশ সাংসদও। কৃষকদের সমস্যা নিয়ে ভারত সরকারের সঙ্গে কথা বলার জন্য ব্রিটেনের বিদেশ সচিবকে চিঠিও দিয়েছেন তাঁরা। কৃষকদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে সমর্থন করেছে রাষ্ট্র সংঘও। সবমিলিয়ে কৃষক আন্দোলন নিয়ে ঘরে বাইরে ব্যাপক চাপের মুখে পড়ল কেন্দ্রীয় সরকার।
[আরও পড়ুন : সোমালিয়া থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারে বিশ্বে বাড়বে জঙ্গি হামলা, সতর্কবার্তা বিশেষজ্ঞদের]
এক সাক্ষাৎকারে জাস্টিন ট্রুডো জানিয়েছেন, “বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের অধিকারকে সমর্থন করবে কানাডা। আলোচনার মাধ্যমে অশান্তি মেটানো ও শান্তি ফেরানোর জন্য পদক্ষেপের দিকে তাকিয়ে রয়েছি সকলে।” উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগেই ভারতীয় কৃষকদের প্রতিবাদের সমর্থন করেছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তার প্রেক্ষিতে শুক্রবার কানাডার দূতকে ডেকে ভারত জানিয়ে দিল, এরকম চলতে থাকলে দু’দেশের সম্পর্কের গুরুতর অবনতি হতে পারে। এদিন এ ব্যাপারে একটি সরকারি বিবৃতি প্রকাশ করে জাতীয় বিদেশমন্ত্রক। বিবৃতিতেবলা হয়েছে, ট্রুডোদের মন্তব্য কানাডায় ভারতের দূতাবাস এবং হাই কমিশনের সামনে ‘চরমপন্থীদের’ জমায়েত করতে উসকানি দিয়েছে। এরপরেও শুক্রবার সেখানে একাধিক ব়্যালি হয়েছে।
[আরও পড়ুন : ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর থেকে খুব দ্রুত মুক্তি পাবে ফ্রান্স, আশা তুরস্কের রাষ্ট্রপতির]
এদিকে ব্রিটিশ বিদেশ সচিব ডমিনিক রাবকে দেওয়া চিঠিতে সাংসদরা লিখেছেন, “ভারত সরকারের আনা নতুন কৃষি আইন কৃষকদের স্বার্থরক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে। তাঁদের ফসলের সঠিক মূল্য মিলবে না এই আশঙ্কায় দেশজুড়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কৃষকরা।” পাঞ্জাব সহ একাধিক রাজ্যের পাঞ্জাবি ও শিখ কৃষকদের পরিবারের সদস্যরা ব্রিটেনে রয়েছেন। পরিবারের সদস্যদের জন্য উদ্বিগ্ন ব্রিটেনবাসীরা তাঁদের সাংসদদের চিঠি লিখেছেন তারই প্রেক্ষিতে এই চিঠি। এ প্রসঙ্গে ব্রিটেনের লেবার পার্টির সাংসদ দলজিৎ সিং দেসি এ নিয়ে টুইট করেও কৃষকদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন।
বার্তা দিয়েছেন রাষ্ট্র সংঘের সেক্রেটারি জেনারেলের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিকও। জানিয়েছেন, বিশ্বের অন্যান্যা প্রান্তের মতো ভারতে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ জানানোর অধিকার আছে। সরকারেরও সেই কাজে সহযোগিতা করা উচিৎ।”