সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্ষমতা হস্তান্তরের আগে একাধিক দোষীর শাস্তি মকুব করতে চান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। সেই পথে এগিয়ে বুধবার প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিনকে (Michael Flynn) ক্ষমা করলেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট।
[আরও পড়ুন: মুম্বই হামলায় নিহতদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন ইজরায়েলের, দোষীদের শাস্তির দাবি জেরুজালেমের]
মার্কিন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফ্লিন এফবিআইকে মিথ্যা বলা নিয়ে দু’বার নিজের দোষ স্বীকার করেছিলেন। ২০১৬’র শেষ এবং ২০১৭’র শুরুতে যখন প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা বারাক ওবামা থেকে ট্রাম্পের কাছে হস্তান্তর হচ্ছিল, সে সময় এক রাশিয়ান কূটনৈতিকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল ফ্লিনের। সে ব্যাপারে তিনি মার্কিন তদন্তকারী সংস্থাকে মিথ্যা বলেছিলেন। পরে ২০১৬ নির্বাচনে রাশিয়ান হস্তক্ষেপ নিয়ে বিশেষ তদন্ত শুরু হয়। তখনই হোয়াইট হাউসের একমাত্র কর্মী হিসেবে নিজের দোষ স্বীকার করেন ফ্লিন।
গত মে মাসে ফ্লিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় মার্কিন বিচার বিভাগ। তবে বিষয়টা এখনও ফেডেরাল আদালতের বিচারাধীন, কারণ ফ্লিনের মামলার বিচারক এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন। ৬১ বছরের ফ্লিন মাত্র ২৪ দিন ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করেছিলেন। ২০১৭’র ফেব্রুয়ারিতে ট্রাম্প তাঁকে বরখাস্ত করেন। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত তৎকালীন রুশ রাষ্ট্রদূত সার্গেই কিসলিয়াকের সঙ্গে যোগাযোগের কথা ফ্লিন গোপন করেছিলেন। গত মে মাসে প্রকাশিত তথ্যপ্রমাণে দেখা গিয়েছে, ওয়াশিংটন এবং মস্কোর সম্পর্কের উন্নতি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছিল ফ্লিন এবং কিসলিয়াকের। তবে গত বছর নিজের আইনি দল বদলে ফ্লিন দাবি করেন, তিনি নির্দোষ। এফবিআই তাঁকে ইচ্ছে করে ফাঁদে ফেলেছে। ট্রাম্প প্রথমে বিষয়টা থেকে দূরে থাকলেও পরে ফ্লিনকে সমর্থন করেছেন। ট্রাম্পের মতে ফ্লিন নির্দোষ। ওবামা প্রশাসনের কর্তারা ট্রাম্পকে সরানোর রাস্তা হিসেবে ফ্লিনকে নিশানা বানিয়েছিলেন।