সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। তারপরেই প্রেসিডেন্ট পদে মেয়াদ ফুরিয়ে যাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump)। হোয়াইট হাউস ছাড়তে হবে তাঁকে। কিন্তু তার আগে এমন একটি সিদ্ধান্ত নিলেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যে যার জেরে বিপাকে পড়লেন প্রায় দেড় কোটি মার্কিনি।
করোনা আবহে কাজ হারিয়েছেন বা আর্থিক সংকটে ভুগছেন সেদেশের প্রচুর যুবক–যুবতী। তাঁদের জন্যই প্রথমে সম্মতি দিয়েও পরবর্তীতে ২.৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের অতিমারী মোকাবিলা তহবিলে সই করলেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যা নিয়ে এবার রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে মার্কিন মুলুকে। হতাশ অনেকেই।
[আরও পড়ুন: মোডার্নার করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে শরীরে মারাত্মক অ্যালার্জি ডাক্তারের! চিন্তায় চিকিৎসা মহল]
চলতি বছরের শুরুতেই করোনার (Corona Pandemic) গ্রাসে চলে যায় গোটা বিশ্ব। সংক্রমণ রুখতে জারি হয় লকডাউন। বন্ধ হয়ে যায় সমস্ত কিছু। গৃহবন্দি হয়ে পড়েন সাধারণ মানু্ষ। গোটা বিশ্বের মতো মার্কিন মুলুকেও কাজ হারান অনেকে। বেকার হয়ে পড়া যুবক–যুবতীদের সঞ্চয়ও ফুরিয়ে আসতে থাকে। অনেকেই ধারদেনাও করেন। এই অবস্থায় তাঁদের সাহায্যের জন্য এই বিল আনার কথা ভাবা হয়। এতে মার্কিন বেকার যুবক–যুবতীরা ৬০০ ডলার করে মাসে আর্থিক সাহায্য পেতে পারতেন।
দীর্ঘদিন তর্ক-বিতর্কের পর রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাটিক দল অতিমারী সাহায্যকল্পের এই তহবিলে সম্মত হয়। আপত্তি জানাননি ট্রাম্পও। কিন্তু এখন আচমকাই তাঁর মনে হয়েছে এর বিলে বিশেষ স্বার্থ, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড এবং বিদেশে আর্থিক সাহায্যের জন্য অত্যধিক অর্থ খরচ করা হচ্ছে। পাশাপাশি তাঁর দাবি, ৬০০ ডলার নয়, সবাইকে ২০০০ ডলার দিতে হবে। যদিও বিল পাশের সময় এই বিষয়ে কিন্তু কিছুই বলেননি। তাই তাঁর সই না করার সিদ্ধান্তে ডেমোক্রাটিকরা তো বটেই, অবাক হয়েছেন রিপাবলিকান পার্টির সদস্যরাও। মার্কিন শ্রম দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই বিলে স্বাক্ষর না হওয়ায় বঞ্চিত হলেন প্রায় ১ কোটি ৪০ লক্ষ নাগরিক বঞ্চিত হবেন। তবে ভেটো প্রয়োগ করে তিনি এই বিল পাশের সম্ভাবনা একেবারে বাতিল করে দেননি। পরবর্তীতে সই করেন কি না, সেটাই দেখার।