সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত আমেরিকার মধ্যে প্রস্তাবিত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে তুঙ্গে জল্পনা। তাই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারত সফরের দিকে তাকিয়ে দু’দেশের বাণিজ্য মহল। এহেন পরিস্থিতিতে সংশয় তৈরি করে ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে কোনও চুক্তি হচ্ছে না।
মঙ্গলবার, ক্যালিফোর্নিয়া যাওয়ার পথে হোয়াইট হাউসে সংবাদমাধ্যমের সামনে ট্রাম্প বলেন, “ভারতের সঙ্গে আমরা একটি বড় চুক্তি করতে চলেছি। তবে সেটি এখনই নয়, আরও কয়েকদিন পর। প্রেসিডেন্ট নির্বচনের আগে মনে হচ্ছে না আমরা ওই চুক্তি করতে পারব।” বিশ্লেষকদের মতে, মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বরাবরই স্পষ্টবাদী, খামখেয়ালি, আপাদমস্তক ব্যবসায়ী মনোভাবের মানুষ বলেই জানে দুনিয়া। আমেরিকার ঘনিষ্ঠতম বন্ধু দেশগুলির বিরুদ্ধেও তিনি এর আগে মুখের উপর সত্যি কথা বলে দিয়ে তাদের বিরাগভাজন হয়েছেন। অতীতে তাঁর কড়া কথা ভালভাবে নেয়নি জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ফিলিপিন্স, ইজরায়েল, তাইওয়ান, কানাডা, ব্রিটেনের মতো বন্ধু দেশগুলি। মার্কিন কূটনীতিক ও সংবাদমাধ্যমগুলির দাবি, বন্ধু দেশগুলির বিরুদ্ধে ট্রাম্প ভেবেচিন্তেই নেতিবাচক কথা বলে থাকেন। এটা তাঁর কৌশল। এভাবেই ভোকাল টনিক দিয়ে তিনি একটা মানসিক চাপ তৈরি করেন যাতে তাঁর উদ্দেশ্য সিদ্ধ হয় বা কাজের কাজটি হয়। ভারত সফরে এসে তিনি ভারতের সঙ্গে এমন একটা বাণিজ্য চুক্তি করতে চাইছেন যাতে আমেরিকার লাভ হয় বেশি।
উল্লেখ্য, আমেরিকার তৈরি হার্লে ডেভিডসন বাইক, নানা কোম্পানির মোটর গাড়ি, উন্নত প্রযুক্তি, সরঞ্জাম, কৃষিজাত পণ্য, চিকিৎসা যন্ত্রাংশ, ডিজিটাল পণ্য-সহ সবরকম পণ্যের উপর থেকে ভারত যাতে শুল্ক কমিয়ে নেয় বা তুলে নেয়। এটাই ট্রাম্পের আসল উদ্দেশ্য। আপাদমস্তক তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী। তাই ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গী থেকেই তিনি ভারতের নিন্দে করে ভারত সরকারের উপর চাপ তৈরি করেছেন। এজন্য তিনি বলেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মানুষটি ভাল। কিন্তু সরকারের বাণিজ্য নীতি ও মনোভাব মোটেও ভাল নয়।
[আরও পড়ুন: ক্রমশ বাড়ছে করোনার দাপট, জাপানে আটকে থাকা জাহাজে মৃত দুই]
The post অধরা ভারত-মার্কিন বাণিজ্য চুক্তি, ট্রাম্পের বয়ানে বাড়ল সংশয় appeared first on Sangbad Pratidin.