সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে ধরাশায়ী হয়ে গোড়া থেকেই ভোটে কারচুপির অভিযোগ জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। তাঁরই উসকানিতে ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে হামলা চালায় সমর্থকরা। এহেন পরিস্থিতিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল সমালোচনা হলেও বিদায়ী প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে কোনও আইনি বা প্রশাসনিক পদক্ষেপ করা হয়নি। কিন্তু তাঁকে ইমপিচ করার দাবি ক্রমেই জোরাল হচ্ছে। এহেন পরিস্থিতিতে ট্রাম্পকে ‘উন্মাদ’ আখ্যা দিয়ে তাঁর হাত থেকে আণবিক অস্ত্রের নিয়ন্ত্রণ সরানোর দাবি জানিয়েছেন হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস-এর স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি।
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-নেপালের পর এবার টিকা চাইল ব্রাজিল, দ্রুত সরবরাহের আরজি জানিয়ে মোদিকে চিঠি]
আমেরিকার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, শুক্রবার সহকর্মীদের ন্যান্সি পেলোসি জানান, ডোনাল্ড ট্রাম্প রীতিমতো মানসিক ভারসাম্যহীন বলে মনে করেন তিনি। যেকোনও মুহূর্তে নতুন কোনও যুদ্ধ শুরু করে দিতে পারেন তিনি। তাই বিদায়ী প্রেসিডেন্টকে কীভাবে পরমাণু অস্ত্র থেকে দূরে রাখা যায় সেই বিষয়ে আলোচনা করতে মার্কিন সেনাকর্তা জেনারেল মার্ক মাইলির সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি। পাশাপাশি, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া শুরু করারও উদ্যোগ নিয়েছেন পেলোসি। মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষের স্পিকার পেলোসির কথায়, “বিদায়বেলায় মানসিক ভারসাম্যহীন প্রেসিডেন্ট যাতে আণবিক হাতিয়ারের গোপন কোড হতে না পান সেই ব্যবস্থা করতে এক সহকর্মীর সঙ্গে আলোচনা করেছি। ট্রাম্প যাতে নতুন কোনও যুদ্ধ শুরু করতে নাপড়েন সেই বিষয়ে সতর্ক থাকতে জয়েন্ট চিফ অফ স্টাফ চেয়ারম্যান মার্ক মাইলির সঙ্গে কথা হয়েছে।” তবে এই বিষয়ে মার্কিন সেনাকর্তা কী জবাব দিয়েছেন তা জানাননি পেলোসি। বলে রাখা ভাল, ইরানের সঙ্গে আণবিক চুক্তি থেকে একতরফাভাবে সরে এসেছিল আমেরিকা। তারপর ফের আণবিক হাতিয়ার বানানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে তেহরান বলে বারবার অভিযোগ করেছেন ট্রাম্প। এহেন পরিস্থিতিতে ইসলামিক দেশটির বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ করতে পারেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরে করোনা আবহেই মার্কিন মুলুকে আয়োজিত হয়েছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। যেখানে বিডেনের কাছে হেরে গিয়েছেন ট্রাম্প। কিন্তু হারের পর থেকেই ভোটে কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন। এমনকী মাঝে হোয়াইট হাউস না ছাড়ার হুমকিও দিয়েছেন। তবে সম্প্রতি ক্যাপিটল হিলের ঘটনার পর আরও কোনঠাসা বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আর তাই বিডেনকে ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যাপারে ইতিমধ্যে সায় দিয়েছেন। এর মধ্যেই প্রশ্ন উঠেছিল, তাহলে কি ২০ জানুয়ারি অনুষ্ঠানেও উপস্থিত থাকবেন ট্রাম্প? এই প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প জানান, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত জো বিডেনের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানেও যাবেন না তিনি।