shono
Advertisement

মেল-ইন-ব্যালট মামলায় ধাক্কা, সুপ্রিম কোর্টের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন ট্রাম্প

প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে সরগরম মার্কিন মুলুক।
Posted: 11:27 AM Oct 31, 2020Updated: 12:45 PM Oct 31, 2020

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে সরগরম মার্কিন মুলুক। রাজনীতির রণাঙ্গনে একে অপরের বিরুদ্ধে তোপ দাগছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বিডেন (Joe Biden)। এহেন পরিস্থিতিতে মেল-ইন-ব্যালটে কারচুপির অভিযোগে শুরু হয়েছে বিতর্ক। প্রথম থেকেই এনিয়ে বেসুরো গেয়ে চলেছেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি দাবি করেছিলেন, ৩ নভেম্বর নির্বাচনের পর আর যেন ডাকযোগে পাঠানো ব্যালট বা মেল-ইন-ব্যালট গ্রহণ না করা হয়। বিদায়ী প্রেসিডেন্টের এই দাবি শুনে আদালতে যান ডেমোক্র্যাটরা। নিম্ন আদালতের রায় বিপক্ষে যেতেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় ট্রাম্প শিবির। সেখানেও মেলে জোর ধাক্কা। মামলায় জয় হয় ডেমোক্র্যাটদের। মার্কিন শীর্ষ আদালত আদালত জানিয়েছে, দু’টি গুরুত্বপূর্ণ প্রদেশ-নর্থ ক্যারোলিনা এবং পেনসিলভেনিয়ায় ৩ নভেম্বরের পর আরও ছ’দিন ব্যালট গ্রহণ করা যাবে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: আজীবন চিনের প্রেসিডেন্ট থাকবেন জিনপিং? দলীয় প্লেনাম শেষে শুরু জল্পনা]

বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের পর রীতিমতো উৎফুল্ল বিডেন শিবির। তবে শীর্ষ আদালতের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উজাড় করে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। শুক্রবার টুইট করে তিনি বলেন, “এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত খারাপ। এতে দেশের ক্ষতি হবে। আপনারা ভাবতে পারছেন ন’দিনে কী হতে পারে। নভেম্বরের ৩ তারিখ নির্বাচন শেষ হওয়া উচিত।” উল্লেখ্য, করোনা মহামারীর জেরে প্রভাবিত হয়েছে ডাক যোগাযোগ ব্যবস্থা। ফলে নির্দিষ্ট সময়ে জমা দিলেও মেল-ইন-ব্যালট আসতে দেরি হতে পারে। এই যুক্তিতে ৩ নভেম্বরের পর থেকে ন’দিন পর্যন্ত আসা ব্যালট গণনা করার অনুমতি চেয়ে আবেদন জানিয়েছিল নর্থ ক্যারোলিনা নির্বাচন কর্তৃপক্ষ। নিম্ন আদালত সেই আবেদনে মান্যতা দিয়েছিল। সেই রায় বহাল রেখেছে আমেরিকার সুপ্রিম কোর্টও। অন্যদিকে, সেপ্টেম্বর মাসেই পেনসিলভেনিয়ার ক্ষেত্রে ভোটের পর আরও তিনদিন পর্যন্ত আসা মেল বা অ্যাবসেন্টি ব্যালট গোনা যাবে বলে জানিয়েছিল আদালত। স্থানীয় রিপাবলিকানরা রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন জানালেও সুপ্রিম কোর্টে তা খারিজ হয়ে যায়। ভোটের আগে গুরুত্বপূর্ণ দুই প্রদেশ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তকে বড় জয় হিসেবেই দেখছেন ডেমোক্র্যাটরা।

প্রসঙ্গত, উইসকনসিন, পেনসিলভেনিয়া ও ফ্লোরিডার মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্টেটগুলিতে মেল-ইন-ব্যালটে ‘কারচুপি’ রুখতে হাজার হাজার ট্রাম্প সমর্থক কাজে নেমে পড়েছেন। ওই ‘poll watchers’ বা ‘নির্বাচনী প্রহরী’দের গোটা ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ায় নজর রাখার আবেদন জানিয়েছেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। মোবাইল ক্যামেরা নিয়ে প্রস্তুত ওই কর্মীরা কোনও কারচুপি হলেই সেই ঘটনা ক্যামেরবন্দি করে ফেলবেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিদেশি হস্তক্ষেপ, বিশেষ করে রাশিয়ার প্রভাব ফেলা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। এর মধ্যে করোনা আবহে মেল-ইন-ব্যালট প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও ভোট সঠিক প্রার্থীর খাতায় জমা হচ্ছে কি না, তা নিয়ে মার্কিনীদের মনে সংশয় রয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনের শুরু থেকেই মেল-ইন-ব্যালটের বিরোধিতা করেছেন ট্রাম্প। কারচুপির আশঙ্কা-সহ একাধিক অভিযোগ তুলেছেন তিনি। বাবার সুরেই মেল-ইন-ব্যালটে কারচুপির আশঙ্কা করছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র। তাঁর দাবি, ডেমোক্র্যাটরা হাজার হাজার ভুয়ো ব্যালট জমা দেওয়ার চেষ্টা করছে। বিদায়ী প্রেসিডেন্টের দাবিতে সুর মিলিয়েছেন রিপাবলিকানরাও।

[আরও পড়ুন: ফ্রান্সে জঙ্গি হানার নিন্দা সৌদি আরবের, প্যারিসের পাশে দাঁড়াল রিয়াধ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement