সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা ভাইরাসের কারণে প্রায় গোটা পৃথিবীতে আজ চিনকে দোষারোপ করছে। তাদের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্কও ছিন্ন করেছে অনেক দেশ। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর চিনই গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার পক্ষে সবচেয়ে বড় হুমকি বলে দাবি করলেন আমেরিকার গুপ্তচর সংস্থার প্রধান জন রেটক্লিফ (John Ratcliffe)।
বৃহস্পতিবার আমেরিকার বিখ্যাত সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল (Wall Street Journal) -এর ওয়েবসাইটে একটি প্রতিবেদন লিখেছেন ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের অধিকর্তা জন রেটক্লিফ। তাতে তিনি উল্লেখ করেছেন, এটা আমাদের কাছে পরিষ্কার যে আমেরিকা-সহ বিশ্বের বাকি দেশগুলির উপর অর্থনৈতিক, প্রযুক্তিগত ও সামরিক দিক থেকে প্রভুত্ব করতে চাইছে চিন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের (World War Two) পর থেকে আমেরিকা ও গোটা বিশ্বের গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার সামনে চিন হল সবথেকে বড় বিপদ। তাই চিনের উপর নজর রাখার জন্য মার্কিন বাজেটে ৮৫ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: মৌলবাদী কাজকর্মে উসকানি দেওয়ার অভিযোগ, ৭৬টি মসজিদ বন্ধের পরিকল্পনা ফ্রান্সের]
রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের নেতৃত্বে চিন সারা বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক গুপ্তচরবৃত্তি করছে বলে অভিযোগ করেন প্রাক্তন রিপাবলিকান সদস্য রেটক্লিফ। গত বসন্তে ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁকে মার্কিন গুপ্তচর সংস্থার প্রধান হিসেবে নিযুক্ত করেছেন। তারপর থেকেই চিনের উপর তিনি কড়া নজর রাখছেন বলেও উল্লেখ করেন জন। চিন তিনটে উপায়ে অর্থনৈতিক গুপ্তচরবৃত্তি চালায় বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আইডিয়া চুরি করা, তাকে নকল করা ও পুরনোর বদলে নকল জিনিসটা ছাড়া। এভাবেই আমেরিকায় ঢুকে মার্কিন কোম্পানিগুলির মেধা সম্পত্তি চুরি করছে চিন। প্রথমে আমেরিকার কোম্পানিগুলির মেধা ক্ষমতাকে নকল করছে। তারপর বিশ্ব বাজারে আমেরিকার কোম্পানিগুলির সঙ্গে ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতা নামছে।
তাঁর এই বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে চিনের এক মুখপাত্র জানান, এখনও ঠান্ডা যুদ্ধের সময়কার চিন্তাধারার মানুষ যে আমেরিকায় রয়েছেন। এই ঘটনা তার প্রমাণ দেয়।