সুব্রত বিশ্বাস: নিউ নর্মালে কাজের পরিকাঠামো দেখে ধন্দে রয়েছেন রেলের টিকিট পরীক্ষকরা। কালো কোট মানেই টিটিই (TTE)। টিকিট না থাকলে ধুকপুকানি। সেই টিটিরাই এখন যেন কাকতাড়ুয়া। অভিযোগ, আইনি পদক্ষেপের না করার নির্দেশ দিয়ে শুধুমাত্র বিনা টিকিটে সফররত যাত্রীদের ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যেই ব্যবহার করা হচ্ছে তাঁদের।
[আরও পড়ুন: চিন থেকে সরে ভারতে স্যামসংয়ের কারখানা! নয়ডায় ইউনিট খুলতে সাড়়ে ৪ হাজার কোটি বিনিয়োগ]
যাত্রীদের ভয় দেখানোর জন্য ‘কাকতাড়ুয়া’ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছেন বলে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন টিকিট পরীক্ষকরা। অভিযোগ, পরীক্ষকদের বিভিন্ন স্টেশনে দশ-বারোজনের দল পাঠানো হচ্ছে। কাজ কালো কোট পরে নজরদারি। বিনা টিকিটে স্টেশনে কোনও যাত্রী ঢুকে পড়লে তাঁকে টিকিট কেটে আনার অনুরোধ জানানো ইত্যাদি। টিকিট পরীক্ষকদের আক্ষেপ, বিনা টিকিটের যাত্রীকে জরিমানার বদলে অনুরোধ করতে হচ্ছে, ‘টিকিট কেটে আসুন’। এটা অনৈতিক ও পদমর্যাদাহীনতার লক্ষণ। তা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের এহেন নির্দেশের কারণ হিসাবে তাঁরা জানিয়েছেন, ঝামেলা এড়াতে বলছে কর্তৃপক্ষ। ভয় দেখিয়ে উইন্ডো সেল বাড়ানোর কাজ করতে বলছে।
এদিকে, হাওড়া, শিয়ালদহের আগের স্টেশনগুলিতে জরিমানা আদায়ের জন্য বলা হচ্ছে টিটিই-দের। টিকিট পরীক্ষকদের সঙ্গে আরপিএফ দেওয়া হচ্ছে না। ফলে থেকে যাচ্ছে ঝুঁকি। তাঁদের কাছে ইএফটি বিল ও টাকা থাকছে। যা রেলের সম্পদ। খোয়া গেলে দায়। এই পরিস্থিতিতে তাঁরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন। হাওড়ার সিনিয়র ডিসিএম রাজীব রঞ্জন বলেন, “ট্রেনে চেকিং হচ্ছে না। স্টেশনে গিয়ে ডাইভ করতে হচ্ছে। আরপিএফ কম থাকায় স্টেশন ডিউটিতে তা দেওয়া যাচ্ছে না।” পাশাপাশি, ট্রেন চালু হলেও টিটিইদের কন্সুলেটেড টিএ দিচ্ছে না রেল। এটা চূড়ান্ত বেআইনি বলে কর্মী সংগঠনের দাবি। পূর্ব রেলের মেনস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অমিত ঘোষ বলেন, ট্রেন চলছিল না। সিটিএ তখন না দিলেও, এখন ট্রেন চলছে টিকিট পরীক্ষকরা দূরে যাচ্ছেন। ফলে সিটিএ দেওয়ার বিষয়টি আইন সংগত। মাসে এজন্য ষোল হাজার টাকা কম পাচ্ছেন টিটিইরা।