সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তুরস্কের (Turkey) ভয়াবহ ভূমিকম্পে অন্তত ১০ মিটার বসে গিয়েছে সেদেশের টেকটনিক প্লেট। কম্পনের উৎসস্থল তুরস্কের অবস্থান একধাক্কায় প্রায় ৬ মিটার নড়ে গিয়েছে, এমনটাই মত ভূতত্ত্ববিদদের। তবে পরবর্তী সময়ে তথ্য পেলে এই সংখ্যাটা বাড়বে বলেই অনুমান। প্রাথমিক তথ্য থেকে বিশেষজ্ঞদের দাবি, ভূগর্ভস্থ ক্ষেত্রে বেশি ক্ষতি হয়েছে তুরস্কেরই। মাটি থেকে খুব কম দূরত্বে কম্পনের (Turkey Earthquake) উৎসস্থল হওয়ার জেরে পরপর একাধিক ভূমিকম্প হয়েছে বলেই অনুমান ভূতত্ত্ববিদদের।
ইটালির ভূতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ কার্লো ডগলিওনি বলেছেন, তুরস্কের ভূমিকম্পকে ‘শ্যালো ট্রান্সকারেন্ট’ বলা যেতে পারে। এই ধরণের কম্পনে টেকটনিক প্লেট অত্যন্ত বিপজ্জনকভাবে নড়ে যায়। তার ফলে জোরাল সংঘর্ষ ঘটে ভূগর্ভের অভ্যন্তরে। তুরস্কের ক্ষেত্রে মাত্র ৯ ঘণ্টার মধ্যে দু’বার সজোরে ধাক্কা খায় টেকটনিক প্লেট। তার ফলেই কম সময়ের ব্যবধানে বারবার শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়েছে তুরস্কে।
[আরও পড়ুন: কমছে দর্শক, লোকসান ঠেকাতে এবার গণছাঁটাই Disney’র]
পাল্লা দিয়ে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে সিরিয়া ও তুরস্কে। তবে ভূতত্ত্বের দিক থেকে অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তুরস্ক। ডগলিওনির মতে, প্রায় তিন ফুট বসে গিয়েছে দুই দেশের ভূখণ্ড। সিরিয়ার তুলনায় ছয় মিটার বেশি নড়ে গিয়েছে তুরস্কের অবস্থান। তিনি বলেছেন, “আরব প্লেটের দিকে বেশ খানিকটা এগিয়ে গিয়েছে তুরস্কের ভূখণ্ড। ভূমধ্যসাগরীয় এলাকায় সবচেয়ে বিপজ্জনক হয়ে উঠছে এই অঞ্চলটি।”
সোমবারের ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে। প্রবল শীত ও বৃষ্টির মধ্যে ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধারকাজ। তা মেনেও নিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এর্ডোয়ান। তবে বিশ্বে সকল দেশের তরফে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত দুই দেশের দিকে। ইতিমধ্যেই ছ’টি বিমান পাঠানো হয়েছে ভারতের তরফে।