সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশকে (Bangladesh) অস্ত্র বিক্রি করতে চায় তুরস্ক। শুধু তাই নয়, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বিশাল পরিমাণে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে আঙ্কারা। বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ও বিদেশমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠকের পর এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশে সফররত তুরস্কের (Turkey) বিদেশমন্ত্রী মেভলট কাভাসগলু।
[আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা গণহত্যায় মামলায় আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে বড় ধাক্কা মায়ানমারের]
এই বিষয়ে বিদেশমন্ত্রী মোমেন বলেন, “আমরা তুরস্কের সঙ্গে বাণিজ্য, কোভিড-১৯, বহুপক্ষীয় সম্পর্ক বাড়াতে আগ্রহী। আমরা তুরস্কের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত।” তিনি জানান, গত সেপ্টেম্বরে আঙ্কারায় বাংলাদেশ দূতাবাসের নতুন ভবন উদ্বোধন হয়েছে। এবার ঢাকায় তুরস্কের নতুন দূতাবাস উদ্বোধন করা হবে। আবদুল মোমেন আরও বলেন, “সবার জন্য সুবিধাজনক সময়ে বঙ্গবন্ধু ও কামাল আতাতুর্কের আবক্ষমূর্তি দুই দেশে উন্মোচন করা হবে।” মেভলট কাভাসগলু বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ার উদীয়মান সূর্য। আর সব দেশের জন্য বাংলাদেশ আজ মডেল। এশিয়া আর ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে তুরস্কের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার বাংলাদেশ। বাংলাদেশে স্বাস্থ্য, প্রতিরক্ষা-সহ নানা খাতে বিপুল বিনিয়োগের সুযোগ আছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিদেশমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আমরা লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি নিকট ভবিষ্যতে আমাদের বাণিজ্য ২০০ কোটি ডলার হবে, যা গত বছর ছিল প্রায় ১০০ কোটি ডলার। বাংলাদেশ বর্তমানে বিভিন্ন বৃহৎ প্রকল্প হাতে নিচ্ছে। তুরস্কের নির্মাণ প্রতিষ্ঠানগুলো পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম এবং চিনের পরেই তুরস্কের অবস্থান। এ খাতে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।”
প্রতিরক্ষা খাতে প্রযুক্তি হস্তান্তর ও যৌথ উৎপাদনে রাজি আছে তুরস্ক জানিয়ে তুরস্কের বিদেশমন্ত্রী বলেন, “আমরা সবকিছু তৈরি করি না, তবে ৭৫ শতাংশের বেশি আমরা উৎপাদন করি। এর কারণ হচ্ছে, এর আগে যখন সমস্যা চলছিল, তখন আমাদের বন্ধুরাও আমাদের প্রতিরক্ষাসামগ্রী সরবরাহ করেনি এবং সে জন্য আমরা বেশির ভাগ পণ্য নিজেরাই উৎপাদন করি।”