shono
Advertisement

ঝালদার বোর্ড মিটিংয়ে গরহাজির দল বদলানো পুরপ্রধান-সহ ৪ কাউন্সিলর, জল্পনা তুঙ্গে

বৈঠক বাতিলের পরেও হল সভা।
Posted: 08:47 PM Sep 07, 2023Updated: 08:47 PM Sep 07, 2023

সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী পুরুলিয়ার ঝালদায় (Jhalda) পুর বোর্ডের মিটিং থাকলেও সেই সভাতেই গরহাজির থাকলেন তৃণমূলে যোগ দেওয়া নির্দল পুরপ্রধান ও কংগ্রেসের চার কাউন্সিলর। বুধবার রাতে বাঘমুন্ডিতে নির্দল পুরপ্রধান ও কংগ্রেসের যে চার কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন তারাই এদিন পুরসভার বোর্ড মিটিং এড়িয়ে গেলেন বলে অভিযোগ। পুরবিধি অনুযায়ী কংগ্রেস উপ-পুরপ্রধান পূর্ণিমা কান্দু সেই মিটিং করলেন। কিন্তু এই মিটিং ডাকা পুরপ্রধান শীলা চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, জন্মাষ্টমী উৎসবের রেশ থাকাতেই বৃহস্পতিবারের বোর্ড মিটিং তিনি বাতিল করেন। সেই কারণেই চার কাউন্সিলর মিটিংয়ে যাননি।

Advertisement

কিন্তু প্রশ্ন কংগ্রেসের উপ-পুরপ্রধান ও এক কাউন্সিলরের সঙ্গে তৃণমূলের পাঁচ কাউন্সিলর কীভাবে ওই বৈঠক করলেন? সবে মিলিয়ে ফের জল্পনা তুঙ্গে পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভায়। সেই সঙ্গে জটিলতাও। এদিকে পুরুলিয়া জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা প্রাক্তন বিধায়ক নেপাল মাহাতো জানিয়েছেন,”নাটক শুরু। এবার শেষ কোথায় দেখুন। আমি আগাম বার্তা দিয়ে যাচ্ছি শিলা চট্টোপাধ্যায় আর একদিনও চেয়ারম্যান পদে থাকতে পারবেন না।”

[আরও পড়ুন: রক্ষকই ভক্ষক! খাস কলকাতার হোমে টানা ১০ বছর ধরে লাগাতার ‘ধর্ষণ’ দুই নাবালিকাকে]

প্রাক্তন বিধায়ক নেপাল মাহাতোর এই বক্তব্যের পর ঝালদার পুর রাজনীতিতে নানান আলোচনা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তৃণমূলে যোগ দেওয়া পুরপ্রধান শিলা চট্টোপাধ্যায় বলেন, “জন্মাষ্টমী উৎসবের রেশ থাকার কারণেই আমি বোর্ড মিটিং বাতিল করেছিলাম। সেই কারণেই চার কাউন্সিলর যাননি। অন্যান্য কাউন্সিলরদেরকেও বাতিলের বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল।” কিন্তু প্রশ্ন পুরপ্রধান মিটিং বাতিল করার পরেও উপ-পুরপ্রধান বাকি কাউন্সিলরদেরকে নিয়ে কীভাবে মিটিং করলেন?

পুরপ্রধানের কথায়, “মিটিং যেমন আমি ডাকতে পারি। সেরকম মিটিং বাতিল করার আমার ক্ষমতা রয়েছে। উপ-পুরপ্রধান কেন মিটিং করলেন সেটা আমি বলতে পারব না। আবার একটা অস্থিরতা তৈরি করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এটা বুঝতে পারছি। ” এই বিষয়ে উপ-পুরপ্রধান পূর্ণিমা কাঁদুকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে তৃণমূলের প্রাক্তন পুরপ্রধান তথা কাউন্সিলর সুরেশ আগরওয়াল বলেন, “বোর্ড মিটিংয়ে মুলতবি করতে গেলে ২৪ ঘন্টা আগে জানাতে হয়। পুরপ্রধান আসেননি। উপ-পুরপ্রধান বৈঠক করেছেন। ওই মিটিং-র সভাপতি করা হয় দলীয় কাউন্সিলর জবা মাছোয়াড়কে।

[আরও পড়ুন: ‘ভাতা আমরা চাই না’, বিধায়কদের বর্ধিত বেতন নিতে নারাজ শুভেন্দু-সহ বিজেপি বিধায়করা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement