সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এমন যদি হোতো, রাতের কথার সাক্ষী থাকত তারাদের দল। ঊষার আলোয় প্রশ্রয় পেত সকালের আলসেমি। তার পর সেই মিঠে রোদের সোনালি আভা। যেদিকে চোখ যাবে শুধুই সবুজ। সেই সবুজ রং চাদরের মতো নিজের শরীরে জড়িয়ে রেখেছে পাহাড়গুলো। এমন এক ঠিকানার খোঁজে যদি আপনি থাকেন তাহলে আপনার অপেক্ষাতেই রয়েছে তুরুক। মাত্র ৯ একর বিস্তৃত এই পাহাড়ি গ্রামকে আবার টুরুকও বলা হয়।
ছবি: সংগৃহীত
একদিকে সিকিম, অন্যদিকে উত্তরবঙ্গ। এই দুইয়ের মাঝখানে দিব্য আছে ছোট্ট তুরুক। মাথার উপরে নীল আকাশের সঙ্গে লুকোচুরি খেলতে ব্যস্ত সাদা মেঘের দল। সবুজের আস্তরণে নিজেকে ঢেকে আবার সুখনিদ্রায় পাহাড়ের সারি। আনকোরা এই প্রকৃতি উপভোগ করার সুযোগ অনেকেই ছাড়বেন না। পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে হোম স্টে গড়ে উঠেছে বটে, তবে তুরুকের সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে দেয় তুরুক কোঠি। এখানে কয়েকটা দিনের জন্য আস্তানা তৈরি করে ফেলতেই পারেন পরিযায়ী হিসেবে।
ছবি: সংগৃহীত
প্রায় একশো বছরের পুরনো এই তুরুক কোঠি। একসময় সিকিমের প্রথম মন্ত্রী লক্ষ্মী দাসের বাংলো ছিল। তার পর বহু বছর ধরে জেলার হেডকোয়ার্টার ছিল। তবে এখন এটিকে গেস্ট হাউস হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। থাকা ও খাওয়ার সুবন্দোবস্তর পাশাপাশি প্রকৃতিকে উপভোগ করার আদর্শ ঠিকানা এই হেরিটেজ হোম। এছাড়াও অনেক কিছু রয়েছে অফবিট এই ডেস্টিনেশনে। সকালে ওঠার অভ্যাস থাকলে সূর্যোদয় দু'টি চোখকে আরাম দেবে। ঘাসের চাদরে নেবেন বিশ্রাম। পাখিদের সুরেলা কলতানে মন পাবে শান্তি। তারে ভিরের ক্লিফ থেকে রঙ্গীত ও তিস্তার প্যানোরমিক ভিউ পেয়ে যাবেন। চাইলে ছোটখাটো মনেস্ট্রিতেও ঘুরে নিতে পারেন। ফ্লোরা-ফনার রূপ আপনাকে করবে মুগ্ধ।
কীভাবে যাবেন প্রকৃতির এই প্রাসাদে?
কলকাতা থেকে টুরুকের দূরত্ব ৭৮০ কিলোমিটার। শিলিগুড়ি হয়েই যেতে হবে। গ্যাংটকের পথে যাওয়ার টাটা সুমো বুক করে নিতে পারেন। মেল্লি বাজারে নেমে যাবেন। সেখান থেকে তুরুক যেতে মাত্র ৩০ মিনিট সময় লাগবে। অক্টোবর থেকে মে মাসের মধ্যে যে কোনও সময় চলে যেতেই পারেন তল্পিতল্পা গুটিয়ে।
ছবি: সংগৃহীত