সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিন রাজ্যে জয়ের পরেও অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। ফল ঘোষণার পর পাঁচদিন কেটে গেলেও মুখ্যমন্ত্রীদের নাম ঘোষণা করতে পারল না বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার নিয়ে আকচাআকচি থামাতে তিন রাজ্যে পাঠাতে হচ্ছে পর্যবেক্ষক দল। রাজস্থানের দায়িত্বে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, মধ্যপ্রদেশ পাঠানো হচ্ছে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খাট্টার ও ছত্তিশগড়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন মুন্ডাকে। রবিবার রাজস্থান এবং ছত্তিশগড় আর সোমবার মধ্যপ্রদেশে পরিষদীয় দলের বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেদিনই মুখ্যমন্ত্রীদের নাম ঘোষণা হতে পারে বলে বিজেপি সূত্রের খবর।
অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রীদের নাম চূড়ান্ত করতে শুক্রবার রাতে দিল্লিতে বিজেপির সদর দপ্তরে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা, রাজনাথ সিং, বি এল সন্তোষ-সহ শীর্ষ নেতৃত্ব। মুখ্যমন্ত্রীদের নাম চূড়ান্ত করতে পরপর তিনদিন তিনবার বৈঠক করে দলের শীর্ষনেতৃত্ব। কিন্তু নামের ওপর চূড়ান্ত সিলমোহর দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাঁদেরও।
[আরও পড়ুন: অসম মায়ানমারের অংশ ছিল! সিব্বলের কথায় বিশ্বশর্মা ‘রেগে অগ্নিশর্মা’]
রাজস্থানে রাজমাতা, নাকি বালকনাথ। ছত্তিশগড়ে রমণ সিং, নাকি রেণুকা সিং। আর মধ্যপ্রদেশে তো মুখ্যমন্ত্রীর দৌড়ে দীর্ঘ লাইন। সেখানে কুর্সির দাবিদার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান, সদ্য প্রাক্তন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর, কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও প্রহ্লাদ প্যাটেল। কিন্তু শেষ হাসি কোন তিনজন হাসবেন তা একমাত্র জানেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনিই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে শুক্রবার মরুরাজে্য মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারের দাবিদার মহন্ত বালকনাথকে তলব করেন জে পি নাড্ডা। তাঁদের সাক্ষাৎ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আরও উল্লেখযোগ্য, রাজনাথ সিংকে রাজস্থানের পর্যবেক্ষক দলের নেতা করার সিদ্ধান্ত। রাজনাথের সঙ্গে রাজমাতা বসুন্ধরা রাজের সম্পর্ক ‘সুমধুর’বলেই পরিচিত।
[আরও পড়ুন: Mahua Moitra: ‘…তোদের চিতা আমি তুলবই’, সাংসদ পদ হারিয়ে বিস্ফোরক মহুয়া]
রাজনাথ ছাড়াও পর্যবেক্ষক দলে রয়েছেন রাজ্যসভার সাংসদ সরোজ পাণ্ডে ও দলের সাধারণ সম্পাদক বিনোদ তাবড়ে। অন্যদিকে, বাঘ ও বাগির রাজ্য মধ্যপ্রদেশে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও পর্যবেক্ষক করা হয়েছে ওবিসি মোর্চার জাতীয় সভাপতি কে লক্ষ্মণ ও সাধারণ সম্পাদক আশা লাকড়াকে। আর অর্জুন মুন্ডা ছাড়াও ছত্তিশগড়ে পর্যবেক্ষক করা হয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল ও সাধারণ সম্পাদক দুষ্মন্ত গৌতমকে। সূত্রের খবর, যেহেতু মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার নিয়ে দড়ি টানাটানি চলছে তাই শপথের আগেই যাতে গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে না আসে তাই পর্যবেক্ষকদের উপস্থিতিতে বিধায়ক দলের বৈঠকেই নাম ঘোষণা করা হবে। অর্থাৎ আগামীকাল, শনিবার রাতে রাজস্থান ও ছত্তিশগড় এবং সোমবার মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীদের নাম প্রকাশ করা হবে।