সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) অ্যাকাউন্ট খুলে দিল টুইটার (Twitter)। সেই সঙ্গে কংগ্রেসের নিজস্ব টুইটার হ্যান্ডল ও অন্য কংগ্রেস নেতা, যাঁদের অ্যাকাউন্ট লক করা হয়েছিল তাঁদের অ্যাকাউন্টও চালু করা হয়েছে। কংগ্রেসের তরফে এরপরই টুইট করা হয়েছে ‘সত্যমেব জয়তে’।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে দিল্লির এক দলিত বালিকার ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার কথা শেয়ার করতে গিয়ে তাঁর পরিবারের ছবিও প্রকাশ্যে এনে ফেলেই বিতর্কে জড়ান রাহুল গান্ধী। সেই সঙ্গে ওই ছবি শেয়ার করে টুইটারের রোষানলে পড়েন আরও কয়েকজন কংগ্রেস নেতা। অবশেষে তাঁদের অ্যাকাউন্টের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল টুইটার।
[আরও পড়ুন: Uttar Pradesh encounter: যোগীরাজ্যে চলছে ‘অপারেশন ল্যাংড়া’, চার বছরে এনকাউন্টার ৮৪৭২টি]
গতকাল, শুক্রবারই ইউটিউবে ‘টুইটারের ভয়ংকর খেলা’ শীর্ষক এক ভিডিও বিবৃতিতে রাহুল বলেন, ”আমার টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রাজনীতিতে নাক গলানোর জন্যই। একটি সংস্থা ব্যবসা করতে গিয়ে যেভাবে আমাদের রাজনীতির সংজ্ঞা তৈরি করার চেষ্টা করছে একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে সেটা আমি একেবারেই পছন্দ করছি না।” তাঁর দাবি, ”এটা দেশের গণতন্ত্রের উপরে আক্রমণ।”
তাঁর অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা প্রসঙ্গে রাহুলের দাবি, ”এটা কেবল আমার উপরেই আক্রমণ নয়। আমার ২ কোটি ফলোয়ার রয়েছেন। তাঁদেরও মতামত দেওয়া থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে টুইটারের নিরপেক্ষ ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে।” টুইটারের উপরে বিজেপি সরকারের নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ তুলে তিনি কটাক্ষ করেছিলেন, ”টুইটার আর নিরপেক্ষ নেই। এটা একেবারেই পক্ষপাতদুষ্ট একটা মাধ্যম।”
[আরও পড়ুন: Kabul থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে Taliban, আফগানিস্তানে নতুন ফৌজ পাঠাচ্ছে America]
এদিকে ওই পোস্টকে ঘিরে বিতর্ক এখনই মিটছে না। এরই মধ্যে ফেসবুককে তলব করেছে জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন। ১৭ আগস্ট বিকেলে এক ভিডিও বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে ফেসবুক প্রতিনিধিকে। আসলে ইনস্টাগ্রামে রাহুল একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন। তাতে নিগৃহীতা বালিকার পরিচয় প্রকাশিত হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই ভিডিও পোস্ট করার জন্য রাহুলের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে তা জানতেই ফেসবুককে তলব করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ইনস্টাগ্রাম ফেসবুকেরই মালিকানাধীন একটি সংস্থা।