সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টুইটারের রাশ হাতে নিয়েই বদলের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন এলন মাস্ক। বিশ্বজুড়ে কর্মী সংখ্যা কমানো হবে বলে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছিলেন বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তি। তারপর সংস্থাটির ভারতীয় বংশোদ্ভূত সিইও পরাগ আগরওয়ালকে ছেঁটে ‘দিন বদলের’ সূচনা করেন তিনি। এবার ভারতেও কর্মী ছাঁটাই শুরু করল মাইক্রোব্লগিং সাইটটি বলে খবর।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, শুক্রবার থেকে ভারতে কর্মী ছাঁটাই শুরু করেছে টুইটার। ইঞ্জিনিয়ারিং, সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং এবং কমিউনিকেশনস ইউনিট বিভাগের কর্মী সংখ্যা কমানো হচ্ছে বলে খবর। তবে ঠিক কতজন চাকরি খুইয়েছেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। একইসঙ্গে, তাঁদের কত টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে বা হবে সেই তথ্যও প্রকাশ্যে আসেনি। সূত্রের খবর, বিশ্বজুড়ে টুইটারে পরিকাঠামো ও কার্যপন্থায় বিরাট বদল আনতে চাইছেন মাস্ক। সেই দিশায় প্রথম পদক্ষেপই নাকি কর্মী ছাঁটাই। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে টুইটারের কর্মী সংখ্যা প্রায় ৭ হাজার ৫০০। সেই সংখ্যা অর্ধেক করতে চান। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, এই মুহূর্তে টুইটারের সবচেয়ে বড় সমস্যা কী? এই প্রশ্নের উত্তরে মাস্ক বলেন, “টুইটারে একজন কোডারের জন্য ১০ জন ম্যানেজার রয়েছেন।”
[আরও পড়ুন: ফেলো কড়ি মাখো তেল! Twitter-এ ব্লু টিক পেতে মাসে খরচ ৬৬১ টাকা, ঘোষণা মাস্কের]
উল্লেখ্য, আগেই মাস্ক সমস্ত কর্মীকেই ই-মেল করে জানিয়েছিলেন, শুক্রবার থেকেই কর্মী ছাঁটাই শুরু হবে। মাস্কের দাবি, টুইটারকে সঠিক পথে নিয়ে যেতে বিশ্বব্যাপী সংস্থার বহু কর্মীকে ছাঁটাই করতে হবে। ‘দুর্ভাগ্যজনক’ হলেও এই সিদ্ধান্ত তাঁদের নিতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মাস্ক (Elon Mask)। শুক্রবার বিশ্বজুড়ে অফিস বন্ধ রাখে টুইটার। ব্যক্তিগত ই-মেলেই চাকরি যাওয়ার কথা জানানো হয় কর্মীদের। পাশাপাশি যাঁদের চাকরি বহাল থাকল, তাঁদেরও জানিয়ে দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্তের জন্য সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছে মাস্ককে। ইতিমধ্যেই একটি মামলা রুজু হয়েছে, যথেষ্ট সময়ের নোটিস না দিয়েই এভাবে কর্মী ছাঁটাই করতে পারবে না সংস্থা, এই মর্মে।
উল্লেখ্য, বহু টালবাহানার পর টুইটারের মালিকানা পেয়েছেন মার্কিন ধনকুবের। মালিকানা পেয়েই তিনি ছেঁটে ফেলেছেন টুইটারের ভারতীয় বংশোদ্ভূত সিইও পরাগ আগরওয়ালকে। টুইটারের অন্যান্য শীর্ষ নেতাদেরও ছেঁটে ফেলেছেন তিনি। এবার পালা অন্য কর্মীদেরও। গত বছর ডিসেম্বর থেকে টুইটারের (Twitter) সমস্ত শেয়ার নিজের নামে করে নেওয়ার জন্য উঠেপড়ে লাগেন মাস্ক। নানা টানাপোড়েনের পর এপ্রিলে ‘বেস্ট বাই’ অফার দিয়ে সমস্ত শেয়ার নিজের নামে করে নেওয়ার জন্য শেয়ার হোল্ডারদের রাজি করিয়ে ফেলেন তিনি।