সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: ভরা কোটালের দুর্যোগের মাঝে নদীতে দুর্ঘটনা। গঙ্গাসাগরের (Gangasagar) কাছে মাছভর্তি দুটি নৌকা উলটে ব্যাপক ক্ষতির মুখে ব্যবসায়ীরা। মৎস্যজীবীরা নিরাপদে উদ্ধার হলেও একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে কুলপি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ট্রলার দুটি উলটে যাওয়ায় প্রায় ৫০ কুইন্টাল মাছ নষ্ট হয়েছে বলে খবর। বিপুল অঙ্কের ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের। রাজ্য সরকারের কাছে তাঁরা আর্থিক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন।
আহত মৎস্যজীবী ভর্তি কুলপি হাসপাতালে। নিজস্ব চিত্র।
ঘটনা রবিবারের। জানা গিয়েছে, ওইদিন ভরা কোটাল ছিল। যার জেরে গঙ্গায় জলস্ফীতি থাকায় মৎস্যজীবীদের (Fishermen) সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার পরও দুটি নৌকা নিয়ে মাছ ধরতে যায় একদল মৎস্যজীবী। একটির নাম এফডি রাজলক্ষ্মী, আরেকটি এফডি মা লক্ষ্মী। দুটি নৌকায় ৪০ থেকে ৫০ কুইন্টাল মাছ ছিল। তা ধরে ফেরার সময়ে গঙ্গাসাগরের বেগুয়াখালির কাছে নৌকা দুটি উলটে যায়। বেশিরভাগ মাছই (Fishes)নষ্ট হয়েছে। তবে স্থানীয়দের সাহায্যে কিছু মাছ উদ্ধার করা হয়েছে। নিরাপদে পাড়ে আসতে পেরেছেন মৎস্যজীবীরাও। এই দুর্ঘটনা নিয়ে সাগর সঙ্গম ফিশারমেন অ্যাসোসিয়েশনের তরফে সামাদ আলি খান বলেন, ''দুটি মাছবোঝাই ট্রলার উলটে গিয়েছে। তাতে ইলিশ-সহ প্রায় ১১ লক্ষ টাকার বিভিন্ন মাছ ছিল। বেশিরভাগই নষ্ট হয়েছে। বড় ক্ষতির মুখে পড়েছেন মৎস্যজীবীরা। রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি তাঁদের আর্থিক সাহায্য করার।''
[আরও পড়ুন: মহামারী পেরিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশ, অর্থনৈতিক সমীক্ষায় শক্তিশালী ভারতের ছবি আঁকলেন নির্মলা]
রবিবার ভরা কোটালের জলে বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হয় কপিলমুনির মন্দির সংলগ্ন এলাকাতেও। দিনদশেক আগে ধসের কবলে পড়েছিল গঙ্গাসাগর ২ নম্বর থেকে ৫ নম্বর যাওয়ার রাস্তাটি। ৪ নম্বর রাস্তায় পূর্তদপ্তরের কংক্রিটের প্রায় ১০ ফুট রাস্তা বিলীন হয়েছিল সমুদ্রগর্ভে। রবিবার কোটালের জলে ফের ভেসে গিয়েছে ওই এলাকা। ধসের কবলে পড়ল ৪ নম্বর রাস্তায় পূর্তদপ্তরের প্রায় ৩০ থেকে ৪০ ফুট কংক্রিটের রাস্তা। উপড়ে পড়েছে বিদ্যুতের খুঁটিও। এসবের পর মাছভর্তি নৌকা উলটে গেল প্রচুর ক্ষতি হল গঙ্গাসাগরের কাছে।