সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরপর দু’দিনে তিনটি চিতা শাবকের মৃত্যু কুনোর জাতীয় উদ্যানে (Kuno National Park)। বুধবারেই মারা গিয়েছিল সদ্যোজাত শাবকদের একটি। পরের দিনই জানা গেল, বৃহস্পতিবার একসঙ্গে দুটি চিতাশাবকের মৃত্যু হয়েছে। তাদের শরীরে জলের পরিমাণ অনেকখানি কমে যাওয়ার ফলেই মৃত্যু হয়েছে দুই চিতা শাবকের। গত ২৪ মার্চ আফ্রিকান চিতা জ্বালা চারটি শাবকের জন্ম দিয়েছিল। তার মধ্যে আর মাত্র একটি জীবিত রয়েছে।
বৃহস্পতিবার কুনো জাতীয় উদ্যানের আধিকারিকরা জানান, “জন্মের পর থেকেই চিতা (Cheetah) শাবকগুলি খুব দুর্বল ছিল। স্বাভাবিকের তুলনায় ওজন কম ছিল, শরীরে জলের পরিমাণও খুব কম। অন্য চিতা শাবকদের মতো স্বাভাবিক ছন্দে বেড়েও উঠতে পারেনি তারা। বেশ কয়েকদিন ধরেই পশু চিকিৎসকদের কড়া নজরদারিতে রাখা হয়েছিল তাদের।” জানা গিয়েছে, চতুর্থ শাবকটির অবস্থাও বেশ সংকটজনক। তাকে স্থানীয় পশু হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে দুই চিতাশাবকের দেহ।
[আরও পড়ুন: চাপে উইপ্রোর আর্থিক পরিস্থিতি! সংস্থার চেয়ারম্যানের ভাতা হয়ে গেল অর্ধেক!]
শুধু শাবক নয়, ভারতের জলবায়ুর সঙ্গে মানিয়ে নিতে না পেরে মৃত্যু হয়েছে তিনটি পূর্ণবয়স্ক চিতারও। চলতি মাসের ৯ তারিখে কুনো জাতীয় উদ্যানে মৃত্যু হয়েছে মহিলা চিতা দক্ষের। ২৭ মার্চ মৃত্যু হয় নামিবিয়া থেকে আনা ৫ বছরের স্ত্রী চিতা শাসার। গত ২৪ এপ্রিল মারা যায় দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনা পুরুষ চিতা উদয়। এর মধ্যে ফিন্ডা নামে একটি পুরুষ চিতার আক্রমণে মৃত্যু হয়েছিল দক্ষের। একাধিক শারীরিক অসুস্থতায় মৃত্যু হয় বাকিদের।