সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে (Bangladesh) নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে খতম দুই কুখ্যাত ডাকাত। সোমবার ভোরে ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার এই ঘটনায় আহত হয়েছেন দু’জন নিরাপত্তারক্ষী বলেও খবর।
[আরও পড়ুন: চিন থেকে আরও Corona vaccine পেল বাংলাদেশ, ‘প্রত্যেকে টিকা পাবেন’, ঘোষণা হাসিনার]
জানা গিয়েছে, এদিন ভোরে উপজেলার যশরা ইউনিয়নের বারইল গ্রামে দেশের এলিট বাহিনী ‘র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন’-এর (র্যাব) সঙ্গে সংঘাতে জড়ায় একটি ডাকাত দল। ওই গ্রামে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল ডাকাতরা। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এদিন ঘটনাস্থলে অভিযানে যায় র্যাব। এদিকে, নিরাপত্তারক্ষীদের উপস্থিতির কথা জানতে পেরে গুলি চালাতে শুরু করে ডাকাত দলের সদস্যরা। এই সময় র্যাবও পালটা গুলি চালালে দুই ডাকাত আহত হয়। আহত অবস্থায় দুই ডাকাতকে উদ্ধার করে গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দু’জনকে মৃত ঘোষণা করেন। র্যাব-১৪-এর ময়মনসিংহ কার্যালয়ের সহকারী পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসাইন জানান, এনকাউন্টারে দুই ডাকাত নিহত হয়েছে। বাকিদের খোঁজে অভিযান চলবে। এই সংঘর্ষে দুই র্যাব সদস্য আহত হয়েছেন। তাঁদের ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, মাদক পাচার থেকে শুরু করে একাধিক হত্যা ও ডাকাতির ঘটনায় জড়িত রয়েছে এই ডাকাত দলটি বলে পুলিশ সূত্রে খবর। স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্কের আরও এক নাম হয়ে দাঁড়িয়েছিল তারা। বলে রাখা ভাল, বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলিতে আখড়া জমিয়েছে মাদক ব্যবসায়ী ও ডাকাত দলের সদস্যরা। ২০১৮ সাল থেকে সারা দেশে মাদকবিরোধী অভিযান শুরু হয়। এপর্যন্ত চারজন মহিলা-সহ শুধু কক্সবাজার জেলায় ২৭৯ জন পাচারকারী নিহত হয়েছে। এর মধ্যে দুই মহিলা-সহ ১০৮ জন মায়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক। শুধু টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারা গিয়েছে ১৬৫ জন। এই মুহূর্ত বাংলাদেশে রয়েছে প্রায় ১১ লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থী। রাখাইন প্রদেশে বার্মিজ সেনার হামলায় বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়ছে তারা। তবে আশ্রয়প্রার্থী হয়ে এতদিন বাংলাদেশে ছিল যে রোহিঙ্গারা, আজ তারাই হয়ে উঠেছে মাথাব্যথার কারণ৷ মাদক কারবার থেকে শুরু করে খুন-ডাকাতি, বিদেশী কিশোরী-যুবতী পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে এরা। যে কারণে আগেই রোহিঙ্গাদের মোবাইল ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে হাসিনা সরকার।