shono
Advertisement

সাপ, কচ্ছপ-সহ ১০৯টি বন্যপ্রাণী পাচারের চেষ্টা, ব্যাংকক বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার দুই ভারতীয় মহিলা

দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা করেছে থাইল্যান্ড পুলিশ।
Posted: 02:06 PM Jun 29, 2022Updated: 02:09 PM Jun 29, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বন্যপ্রাণী পাচারের (Wildlife Smuggle) অভিযোগ থাইল্যান্ডে (Thailand) গ্রেপ্তার দুই ভারতীয় মহিলা। দুই অভিযুক্তকে ব্যাংকক বিমানবন্দর (Suvarnabhumi Airport in Bangkok) থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, তাদের সঙ্গে থাকা লাগেজ থেকে বিভিন্ন ধরনের ১০৯টি প্রাণী পাওয়া গিয়েছে। দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বনপ্রাণ সংরক্ষণ আইন-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে থাই পুলিশ।

Advertisement

ব্যাংকক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই অভিযুক্তের নাম নিত্যা রাজা ও জাকিয়া সুলতানা ইব্রাহিম। চেন্নাই (Chennai) থেকে একটি বিমানে তারা ব্যাংকক পৌঁছান। থাইল্যান্ডের জাতীয় উদ্যান, বন্যপ্রাণী এবং উদ্ভিদ সংরক্ষণ বিভাগ জানিয়েছে, ওই মহিলাদের সঙ্গে দু’টি সুটকেস ছিল। এক্স-রে মেশিনে সুটিকেশ দু’টি পরীক্ষা করতেই প্রকাশ্যে আসে ঘটনা। উদ্ধার হয় মোট ১০৯টি প্রাণী। তার মধ্যে রয়েছে দু’টি সাদা সজারু, দু’টি আরমাডিলো, ৩৫টি কচ্ছপ, ৫০টি টিকটিকি এবং ২০টি সাপ।

[আরও পড়ুন: হাসপাতালে ঘুমন্ত মায়ের পাশ থেকে সদ্যোজাতকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুবলে খেল কুকুর]

প্রাণীগুলিকে উদ্ধার করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্ত দুই ভারতীয় মহিলাকে। বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ ও সুরক্ষা আইন, প্রাণী রোগ আইন এবং শুল্ক আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে থাই প্রশাসন। তবে ওই প্রাণীদের ব্যাংককে নিয়ে গিয়ে ঠিক কী করার উদ্দেশ্য ছিল অভিযুক্তদের তা প্রকাশ্যে আনেনি পুলিশ।

একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের দাবি, ব্যাংকক বিমানবন্দর দীর্ঘদিন ধরেই পাচারকারীদের পছন্দের একটি পথ। একাধিকবার এই পথে পাচার করতে গিয়ে সুবর্ণভূমি বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার হয়েছে বহু পাচারকারী। ২০১৯ সালে চেন্নাইয়ের উড়ানে ব্যাংককে আসা এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছিল থাই পুলিশ। ওই ব্যক্তির লাগেজে ছিল একটি চিতা শাবক।

[আরও পড়ুন: জিওর পর রিলায়েন্স রিটেলের দায়িত্বও পরের প্রজন্মের হাতে, চেয়ারম্যান হচ্ছেন ইশা আম্বানি!]

দেশে ও বিদেশে বন্যপ্রাণ পাচারের ঘটনা নতুন না। বিশেষত সজারু ও কচ্ছজ পাচারের ঘটনা মাঝমাঝেই প্রকাশ্যে আসে। এরাজ্যে উত্তরবঙ্গের পথে ভিনদেশে বন্যপ্রাণ পাচারের অভিযোগ ওঠে। তবে প্রশাসন সক্রিয় হওয়ায় নিয়মিত ধরা পড়ে পাচারকারীরা। উল্লেখ্য, ক’দিন আগে অনলাইনে বাঘের দাঁত বিক্রির অভিযোগ উঠেছিল। ঘটনায় সক্রিয় হয়ে ব্যবস্থা নেয় পুলিশ। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement