অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: সারাদিন, সারারাত টানা বৃষ্টি। পাহাড়ে মাটি আলগা হয়ে দুর্ঘটনা। কালিম্পংয়ের (Kalimpong) সেবক-রংপো রুটের ভালুখোলার কাছে রেললাইনের কাজ চলাকালীন টানেলে নামল ধস। মাটি চাপা পড়ে মৃত্যু হল ২ শ্রমিকের, আহত ৫। এঁদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের চিকিৎসা চলছে উত্তরবঙ্গের এক বেসরকারি হাসপাতালে। বাকি তিনজন ভরতি কালিম্পং জেলা হাসপাতালে। সাম্প্রতিককালে পাহাড়ে এভাবে টানেলে ধস (Landslide) নেমে মৃত্যুর ঘটনা বিশেষ ঘটেনি বলেই দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। দুর্ঘটনার পর আপাতত কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে।
সেবক (Sevak) থেকে রংপো পর্যন্ত রেললাইন পাতার কাজ চলছে দিন কয়েক ধরে। রাতেও কাজ চলছিল টানেলে। বৃহস্পতিবার রাতে রংপোর কাছে ভালুখোলায় কাজ করছিলেন ৭ জন শ্রমিক। আচমকাই টানেলে ধস নামে। ভূগর্ভ থেকে বেরতে পারেননি তাঁরা। ফলে মাটি চাপা পড়ে সেখানেই ২ শ্রমিকের মৃত্যু হয়। আহত হন ৫ জন। তড়িঘড়ি তাঁদের উদ্ধার করে নিকটবর্তী কালিম্পং জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ২ জনের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। মৃত ও আহত শ্রমিকরা সকলেই স্থানীয় বলে জানা গিয়েছে।স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন, সাম্প্রতিককালে টানেলে ধস নেমে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি আগে। কেন এই দুর্যোগ পরিস্থিতিতেও রাতে কাজ করানো হচ্ছিল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
[আরও পড়ুন: সকালে পারাপারের জন্য ব্যবহৃত ব্রিজ বিকেলেই উধাও! এক মাসে দু’বার ভাসল দামোদর সেতু]
টানা বৃষ্টিতে উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া খুবই খারাপ। জলমগ্ন বহু এলাকা। পাহাড়ি এলাকা যখনতখন বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। কালিম্পংয়ের জেলাশাসক আর বিমলা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাতে ১০ নং টানেলে দুর্ঘটনাটি ঘটে। আপাতত কাজ বন্ধ রয়েছে। আপাতত কয়েকদিন এমনই আবহাওয়া থাকবে উত্তরবঙ্গে। এমনই পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের। ফলে ঝুঁকি এড়াতে আগামী সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফর বাতিল করা হয়েছে। অন্যদিকে, শুক্রবার ভোরের দিকে উত্তর-পূর্ব ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকায় ভূমিকম্প (Earthquake) অনুভূত হয়েছে। অসমের সোনিতপুরে কম্পনমাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৪.১। এছাড়া মেঘালয়, মনিপুরেও ২.৬ মাত্রার কম্পনে কেঁপে উঠেছে। হতাহতের যদিও কোনও খবর নেই।