সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সেনা (Indian Army) ও জঙ্গির গুলির লড়াইয়ে ফের উত্তপ্ত জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগর। এবার ঘটনাস্থল ডানমারের আলমদার কলোনি। নিকেশ ২ লস্কর জঙ্গি। জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন জওয়ান। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। ওই এলাকা এখনও সেনা জওয়ানরা ঘিরে রেখেছে। জারি তল্লাশি অভিযান।
বৃহস্পতিবার রাতে সেনাবাহিনীর কাছে খবর পৌঁছয় শ্রীনগরের ডানমারের আলমদার এলাকায় জঙ্গিরা (Terrorist) আত্মগোপন করে রয়েছে। গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে ওই এলাকায় শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। সূত্রের খবর, তা আঁচ করে ফেলে জঙ্গিরা। আচমকা গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। পালটা জবাব দেন জওয়ানরা। শুরু হয় দু’পক্ষের গুলির লড়াই। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের আইজি বিজয় কুমার জানান, দীর্ঘক্ষণের গুলির লড়াইয়ে নিকেশ হয় দুই লস্কর জঙ্গি। তাদের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে বন্দুক, কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। প্রচুর সিম কার্ডও পাওয়া গিয়েছে। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারই বান্দিপোরায় একটি জঙ্গি মডিউলের পর্দাফাঁস হয়। গ্রেপ্তার হয় জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবার (LeT) তিন সদস্য।
উল্লেখ্য, কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ হওয়ার পর থেকেই সেখানে সন্ত্রাস ছড়ানোর মরিয়া চেষ্টা করছে পাকিস্তান। ভারতীয় সেনার ভয়ে সরাসরি সংঘাতে না গিয়ে জঙ্গিদের মদতে ছায়াযুদ্ধ চালাচ্ছে পড়শি দেশ পাকিস্তান (Pakistan)। এহেন পরিস্থিতিতে ভারতও সন্ত্রাস দমনে সেনা অভিযান বাড়িয়ে দিয়েছে। এর আগে গত মঙ্গলবার পুলওয়ামায় একটি জঙ্গিঘাঁটি মজুত থাকার খবর দেন গোয়েন্দারা। সেইমতো দ্রুত তৈরি করে ফেলা হয় অভিযানের নকশা। রাতের অন্ধকারেই সন্ত্রাসবাদীদের ডেরাটি ঘিরে ফেলে কাশ্মীর পুলিশ, সিআরপিএফ ও ৫৫ রাষ্ট্রীয় রাইফলসের একটি যৌথবাহিনী। জওয়ানদের উপস্থিতির কথা জানতে পেরে গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। পালটা হামলা চালায় বাহিনী। বেশ কিছুক্ষণ গুলির লড়াই চলার পর নিকেশ হয় তিন জঙ্গি। তারপরই নিরাপত্তারক্ষীরা জানতে পারেন যে নিহত জেহাদিদের মধ্যে রয়েছে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবার কমান্ডার এইজাজ ওরফে আবু হুরাইরা। উপত্যকায় একাধিক জঙ্গি হামলার নেপথ্যে ছিল ওই জঙ্গিনেতা। গত জুন মাসেই কাশ্মীরে লস্করের আরও এক কমান্ডার নাদিম আবরার-সহ দুই জঙ্গিকে নিকেশ করে সেনাবাহিনী।