অর্ণব আইচ: কলকাতা ও আশপাশের থেকে চুরি যাওয়া মোবাইল পাচার হচ্ছে বাংলাদেশে (Bangladesh)। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হাত বদল হওয়ার আগেই ১৩১টি মোবাইল উদ্ধার করলেন লালবাজারের গোয়েন্দারা।
[আরও পড়ুন: কূটনীতিকদের উপর মাইক্রোওয়েভ শক্তির হামলা চিনের, দাবি মার্কিন সংস্থার]
এই ঘটনায় ইরফানুর রহমান রুবেল নামে বাংলাদেশের চট্টগ্রামের বাকুলিয়া থানার বাসিন্দা এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়াও ধরা পড়েছে তার সঙ্গী কড়েয়া থানা এলাকার পাম অ্যাভিনিউয়ের বাসিন্দা শেখ সালিম আহমেদ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া মোবাইলগুলির মধ্যে ৫০টি চুরি হয়েছিল কলকাতা থেকে। বাকিগুলি কলকাতার আশপাশের অঞ্চল থেকে। পুলিশ জানিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের অফিসাররা পার্ক স্ট্রিট থানা এলাকার মারকুইস স্ট্রিটের একটি হোটেলের ওপর নজরদারি শুরু করেন। এক যুবককে হোটেলের সামনে আসতে দেখেন গোয়েন্দারা। কিছুক্ষণ পরই অন্য এক যুবককে দু’টি বড় ব্যাগ নিয়ে এসে তার সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়। ব্যাগ দু’টি হাত বদল হওয়ার আগেই তাদের ঘিরে ফেলে গোয়েন্দা পুলিশ। দু’টি ব্যাগ খুলে উদ্ধার হয় চোরাই মোবাইল।
জানা গিয়েছে, কলকাতা ও তার আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ওই চোরাই মোবাইল এজেন্ট মারফত কেনে সেলিম আহমেদ। এই মোবাইলগুলি বাংলাদেশে পাচার করা হয়। সেখানে ভারতীয় এই চোরাই মোবাইলগুলি কয়েকগুণ দামে বিক্রি করে চোরাকারবারীরা। সেই কারবারীদের বাংলাদেশের এজেন্ট হচ্ছে চট্টগ্রামের ইরফানুর রহমান রুবেল। জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগে পাসপোর্ট ও পর্যটনের ভিসা নিয়ে সে কলকাতায় আসে এই জিনিসগুলি নিয়ে বাংলাদেশে যাওয়ার কথা ছিল তার। দাম বাবদ কয়েক লক্ষ টাকা হাওলায় লেনদেন হয়। এর আগেও চট্টগ্রামের এক যুবককে মোবাইল পাচারের আগেই পুলিশ গ্রেপ্তার করে। যদিও তার কাছে পাসপোর্ট বা ভিসা পাওয়া যায়নি। এবার বাংলাদেশের এজেন্টরা পাসপোর্ট ও ভিসা নিয়েই অপরাধ সংঘটিত করছে বলে জানা গিয়েছে। দু’জনকে জেরা করে এই চক্রের অন্য পাণ্ডাদের সন্ধান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।