নন্দন দত্ত, সিউড়ি: রামপুরহাটের বগটুইয়ে (Bagtui) উপপ্রধান ভাদু শেখ খুনে গ্রেপ্তার আরও ২ জন। নলহাটি ও মাড়গ্রাম থেকে তাদের পাকড়াও করা হয়। ধৃতেরা হল ভাসন শেখ ও সফিক শেখ। ধৃতদের বৃহস্পতিবার রামপুরহাট আদালতে তোলা হবে। উপপ্রধান খুনে এখনও পর্যন্ত মোট ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশ।
গত ২১ মার্চ সন্ধেয় রামপুরহাটের (Rampurhat) বগটুই গ্রামের মোড়ে নিজের বাড়ির কাছেই খুন হন বড়শাল পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখ। বাড়ির সামনে চায়ের দোকানে বসে ফোন করছিলেন তিনি। তখনই তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়া হয়। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। সেই খুনের পরই বেপরোয়া হামলায় বগটুই গ্রামের পূর্বপাড়ায় ন’ জনকে পুড়িয়ে মারা হয় বলে অভিযোগ। কলকাতা হাই কোর্ট সেই ঘটনার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি ভাদু শেখের খুনের তদন্ত কে করবে, তা নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করা হয়।
[আরও পড়ুন: দেওরের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়েও সম্পর্ক ভাঙতে চান বউদি, অভিমানে আত্মঘাতী যুবক]
তবে ভাদু শেখ খুনে (Bhadu Sheikh Murder Case) ধরপাকড় জারি রেখেছে পুলিশ। ঘটনার পরই হানিফ শেখ নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শেরা শেখ, সঞ্জু শেখ ও রাজা শেখ নামে ওই তিনজনকে মালদহ, রামপুরহাট ও ঝাড়খণ্ড সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। রামপুরহাট আদালতে তোলা হয় তাদের। বিচারক ধৃতদের ১০ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। বুধবার রাতে আরও দু’ জনকে পাকড়াও করে পুলিশ। ধৃতেরা হল ভাসন শেখ ও সফিক শেখ। নলহাটি ও মাড়গ্রাম থেকে তাদের পাকড়াও করা হয়। ফলে ভাদু খুনে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬। উল্লেখ্য, ভাদু খুনের ঘটনায় ১০ জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুন, খুনের উদ্দেশ্যে বহু লোকের জমায়েত ও বিস্ফোরক আইনের ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে, ভাদুর ফেরার ভাইদের খোঁজে বুধবার বগটুই গ্রামে তাদের বাড়িতে হানা দেন সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা। মাড়গ্রামে ভাদুর বোনের বাড়িতে গিয়েও তাঁরা কথা বলেন। পাশাপাশি নলহাটি থানার ওসি মনোজ সিংকে ডেকে বগটুই কাণ্ডের সেই রাতে একটি আবাসনের ভিতরে কী আলোচনা হয়েছিল, তা রেকর্ড করেন তদন্তকারীরা। রামপুরহাট থানার দুই এএসআইকেও জেরা করেন সিবিআই আধিকারিকরা। তবে এফআইআরে নাম না থাকা রাজা শেখকে গ্রেপ্তার নিয়ে তার আইনজীবী আদালতে প্রশ্ন তোলেন। সরকারি পক্ষের আইনজীবী অবশ্য দাবি করেন, ভাদু খুনের ঘটনায় প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদের পরই রাজার নাম উঠে আসে। সেই সুবাদেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।