শাহজাদ হোসেন ও জ্যোতি চক্রবর্তী: ক্রমশ বাড়ছে ডেঙ্গুর দাপট। মশাবাহিত রোগে লেগেই রয়েছে প্রাণহানি। মুর্শিদাবাদ এবং বনগাঁয় মৃত্যু হল আরও দু’জনেরও। ডেঙ্গু প্রতিরোধে পঞ্চায়েতের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ বনগাঁর নিহত তরুণীর পরিবারের।
নিহত সীমা বিবি, মুর্শিদাবাদের সুতির দু’নম্বর ব্লকের ইমামবাজারের বাসিন্দা। গত তিনদিন ধরে জ্বর এবং যন্ত্রণায় কষ্ট পাচ্ছিলেন তিনি। শনিবার তাঁকে মহেশাইল গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভরতি করা হয়। রক্ত পরীক্ষায় ধরা পড়ে ডেঙ্গু। তারপর তাঁকে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। মুখ থেকে রক্ত বেরতে থাকে তাঁর। শারিরীক অবস্থার অবনতি হওয়ায় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয়। তবে শেষরক্ষা হল না। রবিবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। এই নিয়ে সুতিতে ডেঙ্গু আক্রান্তের মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল দুই।
[আরও পড়ুন: জাতিবিদ্বেষ মামলায় বিশ্বভারতীর আধিকারিকের বিরুদ্ধে জারি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা]
সুতি দু’নম্বর ব্লকের বিডিও সমীরণ কৃষ্ণ মণ্ডল জানান, এখনও পর্যন্ত ব্লকে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬। প্রতিটি এলাকায় স্প্রে করার কাজ চলছে। স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসংযোগ শুরু করেছেন। চলছে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা শিবির।
ডেঙ্গু প্রাণ কেড়েছে বনগাঁরও এক তরুণীর। মৃত চৈতি বিশ্বাস, বনগাঁর আকাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আইটপাড়া এলাকার বাসিন্দা। গত বুধবার থেকে চৈতির জ্বর হয়েছিল। শনিবার সকালে তাঁকে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করা হয়। গভীর রাতে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ পরিবারের।