সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের ধর্মান্তরণের অভিযোগে উত্তাল দেশ। জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) দুই শিখ তরুণীকে জোর করে ইসলাম গ্রহণ করতে বাধ্য করা হয়। তারপর শ্রীনগরের রাইনাওয়ারি এলাকার এক ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধের সঙ্গে তাঁদের বিয়ে দেওয়া হয়। এমনটাই অভিযোগ করলেন ‘শিরোমণি অকালি দল’-এর নেতা মনজিন্দর সিং সিরসা।
[আরও পড়ুন: ফের জম্মু সেনা ঘাঁটির কাছে চক্কর কাটল Drone, হামলা এড়াতে গুলি বাহিনীর]
এই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার নয়াদিল্লিতে বিক্ষোভ দেখায় শিখ সংগঠনগুলি। এবার মধ্যপ্রদেশ ও উত্তরপ্রদেশের আদলে কেন্দ্রশাসিত জম্মু ও কাশ্মীরে ধর্মান্তরণ বিরোধী আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে শিখ সম্প্রদায়। রবিবার শ্রীনগরে সংবাদসংস্থা এএনআইকে অকালি নেতা সিরসা বলেন, “বন্দুক দেখিয়ে দুই শিখ তরুণীকে অপহরণ করা হয়। তারপর অন্য ধর্মের এক বৃদ্ধের সঙ্গে তাঁদের জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়। এই বিষয়ে কড়া পদক্ষেপের আরজি জানিয়ে আমরা কেন্দ্র সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছি।” তিনি আরও বলেন, “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আমাদের জানিয়েছেন যে গতকাল থেকেই তিনি কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নরের সঙ্গে আলোচনা করছেন। তিনি কড়া পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন। এদিকে, এই ঘটনায় কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহার সঙ্গে দেখা করেন ‘শিখ গুরুদ্বার ম্যানেজমেন্ট কমিটি’র প্রতিনিধিরা। অপহৃত দুই তরুণীর নিরাপদে মুক্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ধর্মান্তকরণ ইস্যুতে এবার সম্পূর্ণ ইউ-টার্ন নিয়েছেন অকালি নেতা সিরসা। কয়েক দিন আগেও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন তিনি। কৃষক আন্দোলনের মঞ্চ থেকে উত্তরপ্রদেশে ধর্মান্তরণ বিরোধী আইনের বিরোধিতা করেছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, তাঁর পালটা যুক্তি ছিল যে কোনও ধর্ম দুর্বল হলে তবেই সেখান থেকে ধর্মান্তরণ হয়। কিন্তু এবার কাশ্মীরে শিখ তরুণীর ধর্মান্তরণের ঘটনায় সম্পূর্ণ উলটো সুরে কথা বলতে শুরু করেছেন তিনি। একই সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের মতোই আইনের দাবি জানিয়েছেন তিনি।