সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চোখের সামনে শেষ হয়ে যাচ্ছিল মাথা গোঁজার ঠাঁই। কারণ, হুড়মুড়িয়ে তা ভাঙতে শুরু করেছিল। আশ্রয়হারা হওয়ার দুশ্চিন্তায় যেন ঠিক কারও কথাই মাথায় আসছিল না। আচমকা মনে পড়ে ভিতরে আটকে পড়েছেন বৃদ্ধ বাবা। সঙ্গে সঙ্গে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে ভিতরে ঢুকে পড়েন দুই ভাই। বাবাকে বের করার সময়ই ধসে পড়ে দেওয়াল। তাতেই মৃত্যু হয় দুই ছেলের (Son)। তবে বৃদ্ধ বাবা সুস্থ রয়েছেন। ঘটনার আকস্মিকতায় থমথমে বাঁকুড়ার (Bankura) জয়পুরের সুপুর গ্রাম।
ওই মাটির বাড়িতে কমপক্ষে ৬০-৭০ বছরের পুরনো। তাতে ৯৫ বছর বয়সি অনিলচরণ বিশ্বাস তাঁর দুই ছেলে এবং তাঁদের পরিবার নিয়ে থাকতেন। বৃহস্পতিবার রাত একটা নাগাদ ঘুমোচ্ছিলেন সকলেই। এমন সময় আচমকা বাড়ির একাংশ ভাঙতে শুরু করে। ঘুম ভেঙে যায় প্রায় সকলের। যে যার মতো হুড়মুড়িয়ে বাড়ি থেকে বেরতে শুরু করে। তবে বৃদ্ধ অনিলবাবু বেরতে পারেননি। প্রথমে তা খেয়াল করেননি কেউই। পরে তা টের পান অনিলবাবুর ছেলে সন্তোষ এবং বিকাশ। তাঁরা প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে বাড়ির ভিতর ঢুকে পড়েন। ততক্ষণে বৃদ্ধ বাবা (Father) আতঙ্কে জড়োসড়ো হয়ে গিয়েছেন। তাঁকে কোনওক্রমে উদ্ধার করেন দুই ছেলে। তবে ঠিক বেরনোর সময়ই বাড়ির দেওয়াল ভেঙে পড়ে। ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপা পড়ে যান সন্তোষ এবং বিকাশ। তাতেই মৃত্যু হয় বছর ষাট ও পঁয়ষট্টির দু’জনের।
[আরও পড়ুন: ‘মাস্ক মুভমেন্ট-মাস মুভমেন্ট’, দশভুজার আবাহনে সংক্রমণ এড়াতে ১০ দাওয়াই পুরুলিয়া প্রশাসনের]
বাড়ি ভাঙার ফলে কোনও চোটাঘাত পাননি বৃদ্ধ। একেবারেই সুস্থ রয়েছেন। তবে চোখের সামনে দুই ছেলের মৃত্যু যেন মন থেকে মানতে পারছেন না ওই বৃদ্ধ। মানসিকভাবে একেবারেই ভেঙে পড়েছেন তিনি। ঘটনার আকস্মিকতায় স্তব্ধ গোটা এলাকা। ঘরের ছেলের মর্মান্তিক মৃত্যুতে স্তম্ভিত প্রায় সকলেই।