ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: এবার দুই ছাত্রকে সাসপেন্ড করল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবারই তাঁদের কাছে পৌঁছে গিয়েছে সাসপেনশন নোটিস। এই ঘটনার জেরে নতুন করে বিতর্কে জড়িয়েছে ঐতিহ্যবাহী এই বিশ্ববিদ্যালয়।
কেন সাসপেন্ড করা হল সোমনাথ সাউ ও ফাল্গুনি পান নামে ওই দুই পড়ুয়াকে? জানা গিয়েছে, সাসপেন্ডেড অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যের অফিস ঘরের তালা ভাঙার চেষ্টা করেছিল এই দুই পড়ুয়া।সেই ঘটনার জেরেই তিন মাসের জন্য এই সাসপেন্ডের সিদ্ধান্ত। সুত্রের খবর, ঘটনার তদন্তের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটির রিপোর্ট অনুয়ায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্নীতি, আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ নিয়ে সরব হওয়ায় শাস্তির কোপে পড়েন অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য। তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। বিষয়টি জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন পড়ুয়ার। তাঁদের অভিযোগ, বিশ্বভারতীকে গৈরিকীকরণের চেষ্টা চলছে।
[আরও পড়ুন: ফের জনতার পাশে সাংসদ নুসরত, স্বাস্থ্য পরিষেবা উন্নয়নে বসিরহাট হাসপাতালে চালু করলেন ICU]
অন্যদিকে বিশ্বভারতীর অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যকে সাসপেন্ড করার প্রতিবাদে জোট বাঁধেন দেশবিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাড়ে পাঁচশোরও বেশি অধ্যাপক। তাঁরা বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কাছে সুদীপ্তবাবুর সাসপেনশনের নির্দেশ দ্রুত প্রত্যাহার করার আবেদন জানান। একইভাবে অল ইন্ডিয়া ফেডারেশন অফ ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড কলেজ টিচার্স অর্গানাইজেশন এবং ফেডারেশন অফ সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটিস টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকেও বিশ্বভারতীর এই সিদ্ধান্তে তীব্র বিরোধিতা করা হয়েছে। এসবের মাঝে এই দুই পড়ুয়াকে সাসপেন্ডের ঘটনায় নতুন করে জটিলতা তৈরি হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।