নন্দিতা রায় ও সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: মমতার দূত হয়ে বীরভূমের তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে তিহাড় জেলে গিয়ে দেখা করে এলেন তৃণমূলের দুই প্রতিনিধি। রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন (Dola Sen) এবং বীরভূমের সাংসদ অসিত মাল এদিন তিহাড়ে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ দলের জেলা সভাপতির সঙ্গে কথা বলেন। অনুব্রতর শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন। যা রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিন তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে সকাল ১১টা নাগাদ তিহাড় জেলে যান দোলা সেনরা। ঘণ্টাখানেক কথা বলার সুযোগ পান তাঁরা। অনুব্রতর শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন। সুকন্যা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। তার থেকেও তাৎপর্যপূর্ণভাবে দল যে তাঁর পাশেই আছে, সেই বার্তাটা পৌঁছে দেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির কাছে। কিছুদিন আগেই শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে জামিনের আবেদন করেছিলেন। সেই আরজি খারিজ হয়েছে। অসুস্থ শরীরে আপাতত তাঁর ঠাঁই তিহাড়েই। ওই জেলে রয়েছেন অনুব্রতর মেয়েও।
[আরও পড়ুন: ধর্ম বদলে অরাজি, অন্তঃসত্ত্বা লিভ-ইন সঙ্গীকে ওষুধ খাইয়ে খুন মুসলিম যুবকের]
এদিন দিল্লিতে যেভাবে তৃণমূলের প্রতিনিধিরা তিহাড়ে গিয়ে অনুব্রতর সঙ্গে দেখা করে এলেন সেটা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এর আগে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো হেভিওয়েট নেতাও জেলবন্দি রয়েছেন। তাঁর সঙ্গে জেলে গিয়ে দেখা করা তো দূরের কথা, যথাসম্ভব দূরত্ব বজায় রাখছে তৃণমূল। একই অবস্থান যুবনেতা কুন্তল ঘোষ, বা বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যদের (Manik Bhattacharya) ক্ষেত্রেও। শুধু অনুব্রতর ক্ষেত্রেই ব্যতিক্রমী অবস্থান নিচ্ছে তৃণমূল। এরাজ্যের শাসকদল স্পষ্ট বলে দিচ্ছে, অনুব্রত রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার।
[আরও পড়ুন: ‘মুসলিম লিগ ধর্মনিরপেক্ষ দল’, আমেরিকায় দাবি রাহুলের, তুলোধোনা করল বিজেপি]
এদিন অনুব্রতর সঙ্গে দেখা করার পরও দোলা সেনরা সেকথাই বলেছেন। তাঁদের বক্তব্য,”গোটা দেশেই প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে বিজেপি। অনুব্রতও (Anubrata Mandal) প্রতিহিংসার শিকার। কিন্তু শুধু কেষ্টদার মেয়ে বলে সুকন্যাকে জেলে থাকতে হচ্ছে। এই প্রতিহিংসায় মেয়েটাকে না জড়ালেই পারত। সুকন্যা তো দলেও ছিলেন না।” দল যে পুরোপুরি অনুব্রতর পাশে আছে এবং সব লড়াইয়ে তাঁর সঙ্গে থাকবে সেটাও কেষ্টকে বুঝিয়ে দিয়েছেন অসিত মালরা। দেখা করার পরও তাঁরা স্পষ্ট বলেছেন,”আমরা দলনেত্রীর নির্দেশেই এখানে এসেছি।” পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঠিক আগে এভাবে অনুব্রতর সঙ্গে তৃণমূল নেতাদের সাক্ষাৎ বীরভূমের রাজনীতির নিরিখেও বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।