রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: বোমা বিস্ফোরণে পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরিতে (Khejuri) মৃত্যু হল ২ জনের। এরা দু’জনই খেজুরি ২ নং ব্লকের ভাঙনমারি এলাকায় তৃণমূল (TMC)কর্মী হিসেবে পরিচিত। জখম আরও ৪ তৃণমূল কর্মী। এই ঘটনায় অভিযোগের তির বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। যদিও স্থানীয় বিজেপি বিধায়কের পালটা দাবি, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা অশান্তি ছড়ানোর জন্য বোমা বাঁধছিল, তা আচমকা ফেটে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। এতে বিজেপি কোনওভাবেই জড়িত নয়। ২ জনের মৃ্ত্যুর ঘটনা ঘিরে ফের সরগরম খেজুরির রাজনৈতিক পরিস্থিতি।
ঘটনার সূত্রপাত পয়লা জানুয়ারি। স্থানীয় বিজেপি (BJP) নেতৃত্বের অভিযোগ, তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবস পালনের পর দলীয় কর্মীরা খেজুরি ২ নম্বর ব্লকের গোড়াহাট, কটকাদেবীচক গ্ৰামে রাতের অন্ধকারে বিজেপি কর্মীদের উপর তাণ্ডব চালিয়েছে। কটকাদেবীচক গ্ৰামের বিজেপি কর্মী বুলা গিরিকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে লোহার রড, লাঠি দিয়ে তাঁর পা ভেঙে ঝোপের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।
[আরও পড়ুন: এবার BJP’র সঙ্গে দূরত্ব বাড়ল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের, ছাড়লেন দলের সব WhatsApp গ্রুপ]
পরদিনও বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীর বাড়িতে তৃণমূল হামলা করে বলে অভিযোগ। এরপর সোমবার ফের উত্তপ্ত হয় ওঠে খেজুরির পশ্চিম ভাঙনমারি গ্রাম। সূত্রের খবর, খেজুরি ২ নম্বর ব্লকের পশ্চিম ভাঙ্গনমারির ১৯৫ নম্বর বুথে সেসময় বোমা বাঁধার কাজ চলছিল। আচমকা বিস্ফোরণ ঘটে। প্রবল বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। বিজেপি বিধায়ক শান্তনু প্রামাণিকের অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা নিজেরাই বোমা বাঁধতে গিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে। বিস্ফোরণে প্রথমে চারজন গুরুতর জখম হন। পরে দু’জনের মৃত্যু হয়। এঁদের একজনের নাম অনুপ দাস, অপরজনের নাম এখনও জানা যায়নি।
[আরও পড়ুন: COVID-19 Update: টানা এক সপ্তাহ ঊর্ধ্বমুখী দেশের কোভিড গ্রাফ, ওমিক্রন আক্রান্ত প্রায় ১৯০০]
বিস্ফোরণ (Bomb Blast) নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন জেলা তৃণমূলের যুব সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি । বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণ নাকি আগে থেকে রেখে দেওয়া বোমা ফেটে মৃত্যু? বিস্ফোরণের ঘটনা কি বিজেপির পরিকল্পিত? জেলা তৃণমূল যুব সভাপতি জানান, এ নিয়ে পুঙ্খনাপুঙ্খ তদন্ত হবে। উল্লেখ্য, একুশের ভোটে এই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী শান্তনু প্রামাণিক জয়ী হওয়ার পর থেকেই এলাকায় রাজনৈতিক অশান্তি চলছে বলেই অভিযোগ স্থানীয়দের। বিস্ফোরণে ২ তৃণমূল কর্মীর মৃত্যুর ঘটনা সেই অশান্তি আরও বাড়িয়ে তুলল, তা বলাই বাহুল্য।