shono
Advertisement

কুণালের প্রতিশ্রুতির ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পদক্ষেপ, হলদিয়ার ২ গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছতে উদ্যোগী রাজ্য

বিদ্যুতের তার টানার ক্ষেত্রে জমি সংক্রান্ত কোনও জটিলতা রয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Posted: 02:04 PM Dec 05, 2022Updated: 02:25 PM Dec 05, 2022

ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: স্বাধীনতার পর থেকে বিদ্যুৎহীন হলদিয়া পুরসভার দুই গ্রাম। রবিবার জনসংযোগ সারতে সেই গ্রাম গিয়ে বাসিন্দাদের দুর্দশার কথা শুনে এসেছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাসও দিয়েছিলেন তিনি। যেমন কথা, তেমন কাজ। আশ্বাসের দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদক্ষেপ করলেন বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। গ্রামে পৌঁছে গেলেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের পদস্থ আধিকারিকদের দল। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন তাঁরা। বিদ্যুতের তার টানার ক্ষেত্রে জমি সংক্রান্ত কোনও জটিলতা রয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

গ্রামবাসীদের অভিযোগ শোনার পরই বিদ্য়ুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে কথা বলেন তৃণমূলের (TMC) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। তারপরই গতকাল অর্থাৎ রবিবারই গ্রামে পৌঁছে গিয়েছিলেন বিদ্য়ুৎদপ্তরের আধিকারিকরা। তাঁরা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। এদিন সকালে গ্রাম দু’টিতে যায় বিদ্য়ুৎদপ্তরের পদস্থ কর্তাদের দল। সেখানে বন্দরের জমি সংক্রান্ত আইনি জটিলতা আছে কি না তা খতিয়ে দেখেন তাঁরা। 

[আরও পড়ুন: অভিষেককে জবাব দিতে পালটা প্রস্তুতি বিজেপির, কাঁথিতে সভা করবেন শুভেন্দু]

হলদিয়ার গ্রামে বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্তারা।

এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “গতকাল হলদিয়া পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে বিদ্যুৎহীন দু’টি গ্রাম ঘুরে দেখার পর অরূপকে জানাই। তিনি সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেন। রবিবারই বিদ্যুৎদপ্তরের প্রতিনিধিরা গ্রাম দেখে আসেন। আজ সকালে সেখানে গিয়েছেন বিভাগের পদস্থ আধিকারিকের নেতৃত্বে টিম। বন্দরের জমি সংক্রান্ত আইনি জটিলতা আছে কিনা দেখা হচ্ছে।” পাশাপাশি তাঁর আরও সংযোজন, “দীর্ঘ বামজমানা এবং পরবর্তীকালে অধিকারীরাজ, বারবার তাদের কাছে জানানো আবেদন ছিল নিষ্ফলা। এখন দেখা যাক কতদূর কী করা যায়। চেষ্টা শুরু হল।”

হলদিয়ার গ্রাম পরিদর্শনে বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্তারা।

রাজ্যের প্রায় প্রত্যেকটি গ্রামের ঘরে ঘরেই পৌঁছে গিয়েছে বিদ্যুৎ এবং জল। তবে ব্যতিক্রম হলদিয়া পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিষ্ণুরামচক এবং সৌতনপুর গ্রাম। স্বাধীনতার পর থেকে এখনও সেখানে পৌঁছয়নি বিদ্যুৎ। আধুনিক যুগেও হ্যারিকেনের আলোয় দিনযাপনই যেন ভবিতব্য স্থানীয়দের। বারবার স্থানীয় প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তি সমস্যার কথা জানিয়েছেন। বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে একসময় বাম নেতৃত্বকে জানিয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। তাঁরা ভেবেছিলেন গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছবে। সে আশাপূরণ হয়নি। এরপর শুভেন্দু অধিকারীর কাছে কম দরবার করেননি তাঁরা। কিন্তু গ্রামে বিদ্যুৎ এল কই? এখনও অন্ধকারেই দিন কাটছে বিষ্ণুরামচক এবং সৌতনপুরে গ্রামের বাসিন্দাদের। রবিবার সেখানেই পৌঁছে যান কুণাল ঘোষ। তাঁর কাছে নিজেদের অভিযোগ জানান। এরপরই তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নিল দপ্তর।

[আরও পড়ুন: একলা পুরুষেরও এবার ‘স্বাস্থ্যসাথী’, নয়া সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup ছাঁদনাতলা toolbarvideo শোনো toolbarshorts রোববার